শুক্রবার , ৩ জুলাই ২০২০ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ঠান্ডা পানি পানে হতে পারে বড় বিপদ!

Paris
জুলাই ৩, ২০২০ ১০:১১ পূর্বাহ্ণ

গরমের দিনে আমরা বেহিসাবি ঠান্ডা পানি পান করে থাকি। অনেকে তো বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকেই ঢক ঢক করে কয়েক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করেন। তারপরই যেন মিলে স্বস্তি। তীব্র গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিই যেন একমাত্র মহৌষধ। কিন্ত এ স্বস্তিই একদিন আপনার কাল হতে পারে। বিপন্ন করে তুলতে পারে জীবনকে কারণ ঠান্ডা পানি পান স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।

তবে সবসময় ঠান্ডা পানি খাওয়া কি শরীরের জন্য উপকারী? আসুন জেনে নেই ঠান্ডা পানি খাওয়ার কুফল।

১. বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরে ঠান্ডা পানি পানের অভ্যাস অস্বাস্থ্যকর। কারণ, এর ফলে শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত পরিমাণে শ্লেষ্মার আস্তরণ তৈরি হয়, যা থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২. মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানের ফলে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানে আমাদের স্বাভাবিক পরিপাকক্রিয়াও বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে হজমের মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

৩. শরীরচর্চা বা ওয়ার্কআউটের পর ঠান্ডা পানি একেবারেই পান করা যাবে না। কারণ, ঘণ্টাখানেক ওয়ার্কআউটের পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেড়ে যায়। এ সময় ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য বিঘ্নিত হয়। ফলে হজমের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ার্কআউটের পর ঠান্ডা পানির পরিবর্তে কুসুম গরম পানি পান করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

৪. দন্ত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে দাঁতের ভেগাস স্নায়ুর ওপর। এই ভেগাস স্নায়ু আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে ভেগাস স্নায়ু উদ্দীপিত হয়ে ওঠে। ফলে আমাদের হৃদযন্ত্রের গতি অনেকটা কমে যেতে পারে।

তাই ঠান্ডা পানি পানের অভ্যাস থাকলে বদলে ফেলুন।

পানি পানের পরিমাণ এবং পদ্ধতি

সকালে খালি পেটে এক গ্লাস বা আড়াইশ মিলিলিটার পানি পান করতে হবে।

খাওয়ার ঠিক পরপরই পানি খাওয়া যাবে না। বরং পুরো খাওয়ার মাঝে এক কাপ পরিমাণ বা দেড়শ মিলিলিটার পানি পান করতে হবে, চুমুকে চুমুকে।

দুপুরের খাওয়ার পর থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরপর এক’দুই চুমুক পানি পান করতে হবে।

পানি মুখে নিয়ে ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড রেখে তারপর গলাধঃকরণ করা উচিত।

সবসময় ফুটানোর পানি পান করতে হবে। ফুটানোর ১২ ঘণ্টা পর ওই পানি পান না করাই ভালো।

পানি পানের স্বাস্থ্যকর পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। এটি নির্ভর করে আবহাওয়া এবং একজন ব্যক্তির শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণের উপর। পাশাপাশি সারাদিন অন্যান্য তরল কতটা পান করা হচ্ছে সেটাও হিসেবে রাখতে হবে।

দৈনন্দিন খুঁটিনাটি সমস্যাগুলো সারাতে পানি পান করা সমস্যাগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে পারে।

মনে রাখতে হবে, পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করতে, কুসুম গরম পানি পান করতে হবে, এবং ধীরে পান করতে হবে।

 

সুত্রঃ সময়

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত

ফিনল্যান্ডে জেলহত্যা দিবস পালন

ছাত্রমৈত্রী রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ

২০২২ সালে কীভাবে করোনাকে পরাজিত করা সম্ভব, জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান

রাজশাহীতে সরকারি নির্দেশনা না মানায় জাপান টোব্যাকোকে জরিমানা

বাঘায় কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ

সুনাম বাড়বে মিথুনের, ঝুঁকি নিতে পারেন মীন

ভারতের সাথে নৌপথে বাণিজ্যে রাজশাহীর অর্থনীতি গতিশীল হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান : মেয়র লিটন

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রেকর্ড ১৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়

সালতামামি ২০১৯: নিত্যপণ্যে কেঁদেছে ভোক্তা সুদহারে বিনিয়োগকারী

সিংড়ায় ভেজাল ওষুধ-যৌন উত্তেজক সিরাপ ধ্বংস, দু’জনের কারাদণ্ড