সোমবার , ১৩ আগস্ট ২০১৮ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ঠণ-ঠণ আওয়াজে ব্যস্ত দুর্গাপুরের কামাররা

Paris
আগস্ট ১৩, ২০১৮ ১২:০৯ অপরাহ্ণ

গোলাম রসুল:
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন আনাচে কানাচে অবস্থিত কামাররা। দিনরাত সমান তালে ঠণ ঠণ আওয়াজে তারা এখন হাসুয়া, ছুরি, চাপাতি,দা,বটি তৈরী ও শান দেওয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোরবানী ঈদ যতই এগিয়ে আসছে ততই যেত ব্যস্ততা বেড়েই চলছে কামার ও ক্রেতাদের। ক্রেতারা তাদের পছন্দের হাসুয়া, ছুরি, চাপাতি, ভোজালী, কুড়াল, মাংস কাটার জন্য গাছের গুলের টুকরো কিনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবছর একটু কম সরঞ্জামাদি ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রাধী ক্রয় করছেন ক্রেতারা বলে জানান কামার ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কামাররা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঠণ,ঠণ আওয়াজে কাজ করে চলেছেন তারা। অনেকের হাতে বেশি অর্ডার থাকায় নতুন কোন অর্ডারও নিচ্ছেনা। সারা বছর কাজ না থাকলেও কোরবানীর ঈদের এ সময়টা বরাবরই ব্যাস্ত থাকতে হয় তাদের। পশু জবাইর সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে। কামারের দোকান গুলোতে শোভা পাচ্ছে গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশু জবাইয়ের উপকরণ। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে হাসুয়া, দা, ছুরি, চাপাতি, ও ধামার ব্যাপক চাহিদা বেড়ে যায়।

দুর্গাপুর পৌরসভার সামনে অবস্থিত কামার ব্যবসায়ী বলরাম কর্মকার ও বাবলু কর্মকার জানান, সারা বছর কাজ খুব কম থাকে কোরবানি এলে কাজ বেড়ে যায়। বর্তমানে ছোট ছুরি থেকে শুরু করে বড় ছুরি ও ধামার শান দেয়ার জন্য ৩০টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের ভিত্তি করে ৫০ থেকে ৮০টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি দা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, হাসুয়া ১৮০টাকা, ছোট ছুরি ৫০টাকা, বটি ২০০ টাকা, চাপাতি ২৫০-৬০০ টাকা করে।


দুর্গাপুর বাজারে পশু জবাইয়ের ছুরি কিনতে আসা বাশাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম,সিংগা গ্রামের একরামুল ইসলাম ও খাদেমুল ইসলামসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, কোরবানীর ঈদের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকী তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্যান বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, চাপাতির দাম একটু বেশী বলে জানান তারা। লোহার পাশাপাশি এদিকে স্টিলের ছুরি চাকুও লোকজনকে আকৃষ্ট করছে।

সিংগা বাজারে অস্থিত শাণ দেওয়া কামার মিলন কারিগরের কাছে শাণ দেওয়ার মজুরি জানতে চাইলে তিনি জানান, দা- ছুরি অনুযায়ী ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। তবে ঈদ ছাড়া অন্য সময় একটু কম রাখা হয় বলে স্বীকার করেন তিনি। এদিকে যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শান দেন তাদের অবস্থা মোটামুটি ভাল বলে জানা গেছে। যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করেন তাদের একজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে তাদের কমবেশি সারা বছরই কাজ থাকে। কারণ মহিলাদেরতো সারা বছরই হাসুয়া, দা-ছুরি দিয়ে কাজ করতে হয়।

অন্যদিকে নতুন সঞ্জামাধি কেনা বেচা ও মেরামত করার একটু বেশি মূল্যের ধরার বিষয়ে কামার দোকানিদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, বর্তমানে কয়লার ও রাডের ব্যপক দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদেরও মূল্য একটু বৃদ্ধি করতে হয়েছে। এছাড়াও গত বছরের তুলনায় এবছরে তেমন কেনা বেচাও নেই। শুধু বছরে ঈদুল আজহার সময় ছাড়া তেমন কোন কাজ হয়না তাই একটু বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। তবে ক্রেতারা হাসি মুখেই তা মেনে নিচ্ছেন বলে জানান দোকানীরা।
স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর