সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। তবে ক্রেমলিন এই দাবি নাকচ করেছে।
খবর অনুসারে, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই দাবি ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করে জানান, দুই নেতার মধ্যে কোনো ধরনের ফোনালাপ হয়নি।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে নিজের বাসভবন থেকে ট্রাম্প পুতিনকে ফোন করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়। তবে মস্কো এই প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া সংবাদ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
প্রতিবেদনটিতে ‘অজ্ঞাত সূত্রের’ বরাতে জানানো হয়, ট্রাম্প নাকি পুতিনকে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের সামরিক উপস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত সমাধান নিয়ে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিজয় ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমি যুদ্ধ শুরু করব না, আমি যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাব।’ এর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন।
গত বুধবারের ফোনালাপ শেষে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে চমৎকার একটি ফোনালাপ হয়েছে এবং তাকে ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ওই ফোনালাপে ইলন মাস্কও উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্পের নিজ বাসভবন মার-এ-লাগোতে মাস্ক ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন এবং ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে কথোপকথনের সময় তাকে ফোন ধরিয়ে দেন।
কথোপকথনের সময় কোনো নীতিগত পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওই দিন দুটি বিস্ময়ের ঘটনা ঘটে প্রথমত, ইলন মাস্কের জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলা এবং দ্বিতীয়ত, জেলেনস্কি মাস্কের কথায় কিছুটা আশ্বস্ত হন বলে জানানো হয়। এটি ইঙ্গিত দেয়, ট্রাম্প প্রশাসনে মাস্কের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন