সোমবার , ১২ আগস্ট ২০২৪ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ট্রাফিক পুলিশ পাহারাদার উদ্ধারকারী হিসেবে কাজ করছেন রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা

Paris
আগস্ট ১২, ২০২৪ ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণের প্রত্যয়ে পরিষ্কার-পরিছন্নতা ও যানজট নিরসন ও লুটকৃত মালামাল উদ্ধারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পাহারাতেও কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশের অনুপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে ভূমিকা রাখছেন, তাতে সাধারণ মানুষের মাঝেও অন্য এক ভালোবাসার জন্ম দিয়েছে শিক্ষার্থীদের প্রতি। ফলে দুপরের খাবার থেকে শুরু করে বিস্কুট, পানি ফলমুলও সরবরাহ করছেন সাধারণ মানুষ।

গতকাল রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বাস টার্মিনাল, আলুপট্টি মোড়, সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, মনিচত্বর, লক্ষ্মীপুর, রেলগেট, বর্নালী মোড়সহ এলাকায় যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের রোভার স্কাউট সদস্য, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা এসব দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে, দেশের সংকট মুহূর্তে যখন বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা মাঠে নামায় শিক্ষার্থীদের এই ভূমিকাই খুশি পথচারীরাও। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পাশাপাশি ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ কিংবা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাহারার কাজে মুগ্ধ সকলেই।

রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকায় পথচারী রায়হান হক বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমরা মোবাইল আসক্ত, আর অলস হিসেবেই জানতাম। কিন্তু এই প্রজন্ম আমাদের সামনে নতুন পরিচয় এনেছে। নিজের জীবন উৎসর্গের বিনিময়ে দেশকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন করেছে। একটা দেশকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে। এই প্রজন্মই দেশকে সুন্দরভাবে সাজাবে বলে আশা করি।’

নগরীর উপশহর এলাকার মাজদার হোসেন বলেন, কয়েক দিন পর বাজারে আসলাম। শিক্ষার্থীরা রাস্তাঘাট পরিষ্কার করছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে, আবার দেখলাম জাদুঘরও পাহারা দিচ্ছে। তারা হাতে ছোট লাঠি আর বাঁশি বাজিয়ে ট্রাফিক দেখাশোনা করছে এটা প্রশংসনীয়। মনে হচ্ছে আসল ট্রাফিক সদস্যরাই দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের ধন্যবাদও জানাই।

রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান ও নেওয়াজসহ তাঁদের একটি দল কাজ করছে নগরীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার পরে লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে। নাইম বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনেও আমরা শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলাম। ৫ আগস্টে বিজয় মিছিলও করেছি আমরা। কিন্তু দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-লুট ও অগ্নিসংযোগ করে গোটা রাজশাহীতে বিপুল ক্ষতিসাধন করেছে। আমরা এখন লুটকৃত মালামাল উদ্ধারে কাজ করছি। এই কয়দিনে লুট হওয়া দামি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করে আমরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে ফেরত দিয়েছি। আমাদের অভিযান এখনো চলছে। এর বাইরে রাতেও আমরা এলাকায় পাহারা দিচ্ছে, যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কেউ করতে না পারে।’

মোস্তাসিন নাভিদ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলঙ্গে আমরা কখনো ট্রাফিক পুলিশ, কখনো পাহারাদার আবার কখনো উদ্ধারকারী হিসেবেও কাজ করছি।

স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর