টেপ টেনিস থেকে যেভাবে আইপিএলে আকাশ

স্পোর্টস ডেস্ক :

৩.৩ ওভারে ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট! কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ কিংবা টুর্নামেন্ট যাইহোক না কেন, এমন বোলিং ফিগার যেকোনো বোলারের জন্যই স্বপ্নের মতো। আর সেটা যদি হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এলিমিনেটরেরর মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, তাহলে তো ষোলকলা পূর্ণর গতকাল রাতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে এমনটাই করে দেখিয়েছেন আকাশ মাদল। অথচ বছর চারেক আগেও উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টেনিস বলের ক্রিকেটে ‘খেপ’ খেলে বেড়াতেন ডানহাতি পেসার।

ক্রিকেটটা পছন্দের হলেও পড়াশোনায়ও বেশ মনযোগী ছিলেন আকাশ। খেপ খেলার পাশাপাশি প্রকৌশল বিদ্যায় অধ্যায়নরত  ছিলেন তিনি। সফলভাবে শিক্ষাজীবন শেষ প্রকৌশলীর চাকরিই বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল তার। কিন্তু ক্রিকেটের নেশা ছাড়তে পারেননি। উত্তরাখণ্ডের কোচ মণীশ ঝা জানালেন, ২০১৯ সালে ২৪ বছর বয়েসে তাদের রাজ্য দলে এক ট্রায়াল দিতে এসে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও কোচ ওয়াসিম জাফরের নজরে পড়েন তিনি। মূলত সেখান থেকেই পেশাদার ক্রিকেটের সঙ্গে যাত্রা শুরু এই পেসারের।

মনীশ বলেন, ‘২০১৯ সালে ও আমাদের ট্রায়ালে এসেছিল। ওর মধ্যে একটা এক্স ফ্যাক্টর দেখতে পাই। অ্যাকশন খুব মসৃণ। ওয়াসিম ভাই সঙ্গে সঙ্গে ওকে দলে নিয়ে নেন ও সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে  নামিয়ে দেন।’

গত আইপিএলে নেট বোলার হিসেবে আইপিএলের সঙ্গে সম্পর্ক আকাশের। জাসপ্রিত বুমরাহ আর জোফরা আর্চারের চোটের কারণে পরে তাকে মূল স্কোয়াডে যোগ করে মুম্বাই। অধিনায়ক রোহিত উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে জানালেন সেই গল্প,  ‘সে গত বছরের দলের সঙ্গে ছিল নেট বোলার হিসেবে। জোফরা আর্চার ছিটকে পড়ার পর আমার মনে হলো সে তার দক্ষতা মেলে ধরতে পারবে।’

মুম্বাইকে ম্যাচ জেতানোর হিরো ২৯ পেরুনো এই পেসার গণমাধ্যমে জানান, প্রকৌশলী বলে অনেক পরে শুরু করেও সবকিছু দ্রুত শিখে নিচ্ছেন তিন,  ‘আমি কেবল অনুশীলন করছিলাম আর সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। আমি প্রকৌশল শিক্ষা সম্পন্ন করেছি। টেনিস বল খেলতাম, সেটাই প্যাশন ছিল। প্রকৌশলীদের দ্রুত শিখে নেওয়ার প্রবণতা  আছে।’