টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি

শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হয়ে গেলেও জাতীয় ক্রিকেটারদের স্কিল ক্যাম্প চলবে আরও ১৫ দিন। টানা অনুশীলন করে ফিট হয়ে ওঠা ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা হবে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এর মাধ্যমেই করোনা বিরতি শেষে বাংলাদেশে ফিরতে যাচ্ছে ক্রিকেট। ওই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের পর ঘরোয়া ক্রিকেট চালু হবে। শুরু হতে পারে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগসহ অন্যান্য লিগ। আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বিসিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি তো আমাদের এখানে এখনও ভালো হয়নি যে সব শুরু করে দিতে পারব। তবে আমরা খেলা শুরু করব। ক্যাম্প চলবে আরও ১৫ দিন। এরপরই আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করব। ঘরোয়া ক্রিকেটের দুটি ভাগ আছে। প্রথমে আমরা চিন্তা করছি, যদি ৫-৬টি দল নিয়ে করি, ৬টি দল হলে, ৯০ জন ক্রিকেটার। যত বেশি ক্রিকেটারকে রাখা যায়, তত ভালো। ওদেরকে নিয়ে যদি একটা টুর্নামেন্ট করতে পারি, কর্পোরেট লিগ হতে পারে বা বিসিবির দল, বা যে কোনো কিছু।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবার চিন্তা করছি, মানে যেটা কথা হয়েছে, এমনও হতে পারে, আমাদের জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দল, এইচপি, ওদের নিয়ে তিন-চারটা দল করে ফেললাম। ওদের নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট ছেড়ে দিলাম, বিসিবির স্পন্সরে, এটাও সম্ভব। এটা নিয়েই আজকে আলাপ হয়েছে। দুটির একটি অবশ্যই করে ফেলব। এই টুর্নামেন্টের পর ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের খেলাগুলো চালু করব। প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, প্রিমিয়ার লিগ, যা যা বাকি আছে, সব শেষ করে ফেলব। এটার প্রস্তুতির জন্য এই সময়টা নিচ্ছি, যেন খেলার মধ্যেই আমরা থাকি।’

ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটে আছেন ক্রিকেটাররা। তারা লিগ চালুর দাবি জানিয়েছেন। তবে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারপর লিগ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার ভাষায়, ‘খেলা চালু করা তো গুরুত্বপূর্ণ নয়, কথা হলো আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করব কিভাবে? খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই আমি বলেছি ক্লাবগুলোকে ডাকতে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসতে এবং আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দিতে। আমাদের কাছে যদি মনে হয় সেই পরিকল্পনা মোটামুটি সন্তোষজনক, তাহলে আমরা দ্রুত খেলা চালু করে দেব।’

তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ‘আমরা যদি অন্যান্য দেশের দিকে তাকাই, বিশেষ করে ইউরোপে, যত দিন যাচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। ওরা বলছে সামনে আরও খারাপ হবে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের এখানে কী হবে, আমরা তো বলতে পারছি না। কাজেই আমাদেরকে সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। ঢিলেমি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ