টানা বৃষ্টিতে তানোরে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে বেকায়দায় কৃষকরা

টিপু সুলতান, তানোর:


টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাজশাহীর তানোরে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। শুধু কৃষকরাই না পানিতে ভিজে যাওয়া ধান কাটতে ও মাড়াই করতে শ্রমিকরাও পড়েছেন বেকায়দায়। আবার ভিজে ধান কাটতে কদর বেড়েছে শ্রমিকের। ফলে বাধ্য হয়ে অধিক মূল্যে ধান কেটে নিতে হচ্ছে বলে একাধিক কৃষকরা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলায় দুই ধরনের বোরো ধান চাষ হয়। অবশ্য আগাম জাতের ধান ইতোপূর্বেই কৃষকরা ঘরে তুলেছেন। আর আগাম বোরো চাষ বেশি হয় বিলকুমারী বিলে। শুকনো অবস্থায় চাষিরা ওই ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন এবং ফলনও ভাল হয়েছে। যে সময় বিলের ধান কাটা হয় ওই সময়ে বা তার আগে চলে আলু উত্তোলনের কাজ। আলু উত্তোলন করেই রোপণ করা হয় বোরো ধান। অল্প সময়ের মধ্যেই সেই ধান কাটা যায়।

গতকাল রবিবার উপজেলার তানোর গোল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম, তানোর গ্রামের ইয়াছিন আলী, ইব্রাহিম, সিন্দুকা গ্রামের আব্দুর হান্নান, সালাম মন্ডল, গুবিরপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমান, লুৎফর রহমান বলেন, বৈরি আবহাওয়া ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যেই ধান কাটা ও মেশিনে ভিজে ধান মাড়াই করতে হচ্ছে। খড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রোদ না থাকায় আর মাড়াই শেষে ধান শুকানো যাচ্ছে না। একবার ধান মেলে দিয়ে আসছি তো একটু পরে শুরু হচ্ছে বৃষ্টি।

এজন্য আবার সেই মেলে দেয়া ধান পলিথিন দিয়ে ঢাকতে হচ্ছে। এভাবেই সারাটা দিন পার হয়ে যাচ্ছে। পুরোদমে রোদ না পাওয়া পর্যন্ত ধান শুকানো সম্ভব না। এভাবে আর কয়েকদিন চলতে থাকলে ধানে ট্যাক বা গাছ বের হয়ে যাবে। তখন ধানের ভাত বেশিক্ষণ থাকবেও না এবং স্বাদও পাওয়া যাবে না।

তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, এবারে উপজেলায় ১৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ইতোপূর্বেই আগাম জাতের শুকনো ধান কৃষক ঘরে তুলেছেন। ফলনও হয়েছে। আলুর জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। বৃষ্টির ধান নিয়ে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে।

স/আ