টাকা থাকলে যাদের দলে টানত বার্সেলোনা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে পার করছে বার্সেলোনা। জাভি হের্নান্দেজের অধীনে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। নতুন মৌসুমে শক্তিশালী এক স্কোয়াড গড়ে মিশনে নামতে চায় তারা। কিন্তু চাইলেই তো নিজেদের ইচ্ছেমতো খেলোয়াড় দলে টানতে পারবে না বার্সেলোনা।

সবার আগে নিজেদের আর্থিক দিক নিশ্চিত করার পর লা লিগার বেতন কাঠামোর সঙ্গে সংগতি আনতে হবে। তবেই দলে ভেড়াতে পারবে নতুন খেলোয়াড়।

যদি সব কিছু ঠিক থাকত তবে নতুন মৌসুমের জন্য বার্সেলোনা যাদেরকে দলে ভেড়াত চলুন দেখে নেওয়া যাক তাদের নাম :

রবার্ত লেওয়ানদোস্কি
গত ৩০ মে পোলিশ এই তারকা ঘোষণা দেন, বায়ার্নে তার অধ্যায় শেষ। জার্মান ক্লাবটির হয়ে আর খেলতে চান না। এর পরেই দলবদলের বাজারে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি। সে ক্ষেত্রে তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করে বার্সেলোনা। নতুন মৌসুমে বার্সেলোনার প্রয়োজন লেওয়ার মতো একজন স্ট্রাইকারকে। যিনি দরকারে গোল করে দলকে সাহায্য করতে পারবেন। সর্বশেষ মৌসুমেও বায়ার্নের জার্সিতে ৫০ গোল করেছেন।

রাফিনহা
ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গার আসতে চান বার্সেলোনায়। ছাড়তে চান বর্তমান ক্লাব লিডস ইউনাইটেড। ওসমান দেম্বেলে যদি বার্সার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করে অন্য ক্লাবে চলে যান সে ক্ষেত্রে রাফিনহাকে দেখা যেতে পারে স্প্যানিশ ক্লাবটিতে।

জুলস কুন্দে
২০২১-২২ মৌসুম শেষের আগেই বার্সেলোনার নজরে ছিলেন ফ্রেঞ্চ এই ডিফেন্ডার। কিন্তু তাকে দলে পেতে হলে সেভিয়ার সঙ্গে দর-কষাকষি করতে হবে বার্সাকে। সেভিয়ার সঙ্গে এখনো দুই বছরের চুক্তি বাকি আছে এই সেন্টারব্যাকের।

মারকোস আলোনসো
স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডারকে দলে টানতে চেলসির সঙ্গে সমঝোতা শুরু করতে হবে বার্সেলোনাকে। লা লিগায় ফিরে আসতে চান তিনি। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে চেলসি। ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে তার আরো এক বছরের চুক্তি রয়েছে।

সিজার অ্যাজপিলিকুয়েতা
বার্সেলোনা থেকে কোনো আপডেট না নিয়েই ছুটিতে চলে গেছেন এই ডিফেন্ডার। স্প্যানিশ ক্লাবটিতে আসতে চান তিনি। তার ব্যাপারটি সতীর্থ মারকোস আলোনসোর থেকে খানিকটা অদ্ভুত। চেলসির পুরনো মালিক তাকে কথা দিয়েছিলেন ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে তাকে ছেড়ে দেবেন; কিন্তু নতুন মালিক আসায় চুক্তির একটি অংশ পরিপূর্ণ হওয়ায় এখন আর তাকে ফ্রিতে ছাড়তে রাজি নয়। তাই তাকে দলে ভেড়াতে অর্থ খরচ করতে হবে বার্সেলোনাকে।

 

সুত্রঃ কালের কন্ঠ