জয়পুরহাট জেলা বিএনপির নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট:

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সদ্য নতুন কমিটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা স্থান না পাওয়ায় কমিটি বাতিলর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার সাবেক নেতারা। আজ সোমবার জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ফয়সাল আলীম, জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক নাফিজুর রহমান পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা বলেন, জয়পুরহাট জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত করে চলতি বছরের ২ নভেম্বর মেয়াদ উত্তীর্ণের কাতারে ফেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে মো. শামছুল হককে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে দলীয় ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে জাতীয় পার্টি থেকে আসা ব্যক্তিকে আহ্বায়ক এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ফয়সাল আলীমসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বাদ রাখা হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভ্রান্ত তথ্য দিয়ে প্রকৃত ত্যাগী, আন্দোলন সংগ্রামের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে যে কমিটি দেওয়া হয়েছে তা অবিলম্বে বাতিল করাসহ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

জেলা বিএনপির সদ্য কমিটির আহ্বায়ক মো. শামছুল হক বলেন, এ বছরের মার্চের দিকে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। তারপর তারেক রহমানের নির্দেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত কমিটির দায়িত্ব পালন করছি। বর্তমান কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপিদের নাম নেই। তাদের ব্যাপারে হাইকমান্ড জানে। এখানে আমার কিছু করার নেই। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করতে পারি।

জাতীয় পার্টি থেকে আসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, তৎকালীন জয়পুরহাটে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে জাতীয় পার্টির এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার ওলিউজ্জামান আলমের সঙ্গে ছিলাম।