জয়পুরহাটে ক্যাম্প করে নমুনা পরীক্ষা, ১০১ জনের করোনা শনাক্ত

এর মধ্যে আক্কেলপুর উপজেলায় চারটি নমুনার মধ্যে কেউ শনাক্ত হয়নি। কালাই উপজেলায় ১৩টির মধ্যে ২টি পজিটিভ, ক্ষেতলাল উপজেলায় ৬৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৪টি পজিটিভ, পাঁচবিবি উপজেলায় ৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় ২২টি পজিটিভ, জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ৭৭টি নমুনার মধ্যে ২৭টি পজিটিভ, জয়পুরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৯টি পজিটিভ, জয়পুরহাট পৌরসভার বিশেষ ক্যাম্প ১ নম্বর ওয়ার্ডের বুলুপাড়া মহল্লায় ৪৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১১টি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।

জয়পুরহাট পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলায় হঠাৎ করেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় চাপ বেড়েছে। ভিড়ের কারণে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় অনেকের অনীহা রয়েছে। পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান তাই পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে বিশেষ ক্যাম্প করে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন। ১৭ জুন পর্যন্ত বিশেষ ক্যাম্পে নমুনা পরীক্ষা করা হবে।

জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে বিশেষ ক্যাম্প করে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। প্রথম দিনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট একটি মহল্লায় ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।’

জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ওয়াজেদ আলী বলেন, নমুনা সংগ্রহের হার বাড়ায় করোনা শনাক্তের হারও বেড়েছে। তবে শনাক্তের হার বাড়েনি।

এদিকে জয়পুরহাটে আজ বৃহস্পতিবার বিধিনিষেধের চতুর্থ দিন চলছে। জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার থেকে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌরসভায় বিধিনিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে বিকেল পাঁচটা থেকে পরদিন সকাল ছয়টা পর্যন্ত দোকানপাট, গণপরিবহন বন্ধ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না। জয়পুরহাট ও পাঁচবিবির গরুর হাট ১৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

প্রথম আলো