জয়পুরহাটে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর

জয়পুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী শামছুল হক। একে প্রহসনের নির্বাচন আখ্যায়িত করে তিনি পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। আজ রোববার বেলা একটায় জয়পুরহাট শহরের হক ভিলায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দাবি জানিয়েছেন।

শামছুল হক বলেন, সকাল আটটায় ভোট শুরুর পর পরিবেশ ভালো ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর প্রতিটি ভোটকেন্দ্র বহিরাগতরা দখলে নিয়ে তাঁর এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন গোপন কক্ষে দাঁড়িয়ে থেকে ইভিএমে নৌকার বাটনে চাপ দিচ্ছেন। খঞ্জনপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র তাঁর নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট ফজলুর রহমানের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। প্রশাসন নিষ্ক্রিয় রয়েছে।

নির্বাচনের নামে জয়পুরহাটবাসীর সঙ্গে কৌতুক করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জয়পুরহাট সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান জাহেদা কামাল বলেন, ‘আমি আর বি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট ছিলাম। আমাকে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, সদস্য আলী হাসান মুক্তাসহ ছাত্রদল, যুবদলের নেতা-কমীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রাথী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির মেয়র প্রার্থী শামছুল হক পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমাদের বিরুদ্ধে অসত্য ও কাল্পনিক অভিযোগ করছেন।’

রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।

প্রথম আলো