‘জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হচ্ছে’

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র একটি স্বাধীন দেশই উপহার দেননি, তিনি এই দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে সুচিন্তিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন কোনো দেশকে উন্নতি করতে হলে সেদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সবার আগে উন্নত করা প্রয়োজন। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা এবং শিক্ষা দর্শনকে পাথেয় করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

আজ সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ইউল্যাবের সমাবর্তনটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জ্ঞান দক্ষতা ও মুল্যবোধের সমন্বয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হচ্ছে। আজকে যারা আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপ্রাপ্ত হলেন জাতি গঠনে আপনাদের দায়িত্ব অনেক। আপনারাই হবেন একদিন এ দেশের রক্ষাকারী। আপনারাই নিয়ে যেতে পারেন লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায়।

দীপু মনি বলেন, ইউল্যাব একটি ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে একজন শিক্ষার্থী বিশেষায়িত বিষয়গুলোর পাশাপাশি লিবারেল আর্টস শিক্ষার মাধ্যমে সামগ্রিক শিক্ষার সুযোগ পায়। ফলশ্রুতিতে  তারা সমাজ-সচেতন সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। পূর্ণাঙ্গ মানুষ গড়ার এই ধারনা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারায় আমি ইউল্যাব কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো গবেষণা। এ জন্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণার সুযোগ করে দিতে হবে, পেশাগত উৎকর্ষ বিধানেরও ব্যবস্থা করতে হবে। ইউল্যাবের ১০টি গবেষণা কেন্দ্র থেকে বিশ্বমানের গবেষণা হচ্ছে জেনে আমি সত্যি আনন্দিত।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা স্নাতকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা লেখাপড়ার স্তর শেষ করে বাস্তব জীবনে প্রবেশ করছেন। জীবন কখনোই কন্টকমুক্ত নয়। মাশরাফী শিক্ষার্থীদের কাছে নিজের অভীজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, শত সমস্যাতেও হার মানা যাবে না।

তিনি বলেন, কঠিন পরিস্থিতিতে রিল্যাক্স করার আর সহজ সময়ে রিল্যাক্স না করে সময়কে কাজে লাগানোর মানসিকতা থাকতে হবে। তিনি সকল অবস্থায় দেশকে হৃদয়ে লালন করতে স্নাতকদেরকে পরামর্শ দেন।

সমাবর্তনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি, ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সামসাদ মর্তুজা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিলন কুমার ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার লে. কর্নেল (অব) ফয়জুল ইসলামসহ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন,  বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তারা ও শিক্ষার্থীরা।

এ সমাবর্তনে ভ্যালেডিক্টরিয়ান হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইংলিশ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগের স্নাতক শামায়েল মর্তূজা। সমাবর্তনে ৪ জন শিক্ষার্থী স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত হন। তারা হলেন, ইংলিশ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগের নাদিয়া আল রশিদ, জ্যাকলিন পিউ বোস, শামায়েল মর্তূজা এবং এসএএম রায়হানুর। এ সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৭৫৪ জন শিক্ষার্থী ডিগ্রিপ্রাপ্ত হলেন।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ