নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ শনিবার (১৫ মে) থেকে রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে চাষিরা গুটি আম নামাতে শুরু করেছেন। যাঁদের গাছে এই আম পাকা শুরু হয়েছে, তাঁরাই শুধু আম নামাতে পারছেন।
বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ২০ মে শুরু হবে গোপালভোগ আম নামানো। ২৫ মে থেকে পাড়া যাবে লক্ষ্মণভোগ। ২৮ মে থেকে হিমসাগর। চাষিরা মনে করছেন, এ বছর আমের জন্য আবহাওয়া অনুকূল ছিল। ফলন ভালো হবে। ব্যবসায়ীরাও ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় প্রচুর আম চাষ হয়। এই এলাকায় প্রথম দিন থেকেই যেন রীতিমতো আম পাড়া নিয়ে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। পথে পথে বসে গেছে ছোট ছোট আমের আড়ত। আম পরিবহনের দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রথম দিনে বাঘার পীরগাছা গ্রামের আম ব্যবসায়ী ও চাষি শরিফুল ইসলাম দুই জাতের গুটি আম নামিয়েছেন। তাঁর আড়তে গিয়ে দেখা যায়, পথের ধারে ছোট্ট একটা ঘর তিনি আড়ত হিসেবে ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, গাছে আম পাকা দেখার পরই আম নামিয়েছেন। এই আম তিনি ট্রাকযোগে ঢাকা ও সিলেটের বাজারে পাঠাবেন। নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ২০ মে গোপালভোগ আম নামাবেন।
একই গ্রামের পীরগাছা ঈদগাহ মাঠে আমবাগান থেকে আম পাড়ছিলেন চাষি ও ব্যবসায়ী মমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, এবার আবহাওয়া আম চাষের জন্য অত্যন্ত ভালো ছিল। আমের ফলন হয়েছে খুবই ভালো। তাঁরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আম পরিবহনকে কেন্দ্র করে নতুন এক ধরনের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। প্রায় বছর দশেক আগে বাঁশের ঝুড়িতে করে আম পরিবহন করা হলেও এখন সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিকের ঝুড়ি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাঁশের ঝুড়িতে অনেক সময় আম নষ্ট হয়ে যেত। প্লাস্টিকের ঝুড়িতে সেই আশঙ্কা নেই। তা ছাড়া বাঁশের ঝুড়ি শুধু একবারই ব্যবহার করা যায়। কিন্তু প্লাস্টিকের ঝুড়িগুলো দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায়।
বাঘার তেথুলিয়া বাজারের পাশে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে প্রায় ৬৫ হাজার আমের ঝুড়ি রয়েছে। সাইফুল ইসলাম বলেন, সারা বছর ধরেই তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই ঝুড়ি সংগ্রহ করে রাখেন। আমের মৌসুমে ব্যবসায়ীরা তাঁর কাছ থেকে তা কিনে নেন। প্রথম দিন থেকেই তার ঝুড়ি বিক্রি শুরু হয়েছে।
এএইচ/এস