জেকেজির সাবরিনার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। করোনার ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৩ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সংস্থাটির বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, সরকারি চাকরিতে চিকিৎসক হিসেবে সার্জারি বিভাগ ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে বহাল থেকে তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহপূর্বক ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

এর আগে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন্ উৎস থেকে ডা. সাবরিনার  বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সংগ্রহ করে দুদক। এসব তথ্য-উপাত্ত সংবলিত অভিযোগগুলো কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল উপস্থাপন করলে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ডা. সাবরিনা চৌধুরী পেশায় একজন হৃদরোগ সার্জন। তার স্বামী আরিফ চৌধুরী (সাবরিনা চতুর্থ স্ত্রী)। আরিফের মালিকানাধীন জেকেজি হেলথ কেয়ার নামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা ২৭ হাজার করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই ১৫ হাজার ৪৬০টি মনগড়া ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছেন। বাকি ১১ হাজার ৫৪০টি রিপোর্ট দিয়েছে আইইডিসিআরের মাধ্যমে। করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির কারণে সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি। তারা এখন কারাগারে। পুলিশি তদন্তেও তাদের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার সত্যতাও মিলেছে।