জীবনে হার না মানা বাবার যে ছবি কাঁদাল সবাইকে

২০২১ সালের সিয়েনা আন্তর্জাতিক ফটো অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে আছে বোমার আঘাতে পা হারানো এক সিরিয়ান বাবার ছবি। তিনি শত দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও অঙ্গবিহীন জন্ম নেওয়া শিশু সন্তানকে সামান্য আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। জীবনে হার না মানা বাবার ছবিটি সবাইকে কাদিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ সারাবিশ্বে ছবিটি ব্যাপক আলোচিত হয়।

বাবা ও সন্তানের মধ্যকরা ভালোবাসা ও আনন্দঘন মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধারণ করেন তুর্কি আলোকচিত্রী মেহমেত আসলান। তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী রায়াহানা এলাকা থেকে তোলা ছবিটির শিরোনাম ছিল ‘জীবনের কষ্ট’। ছবির শিশুর জন্মই হয়েছিল টেট্রা-অ্যামেলিয়া সিন্ড্রোম নিয়ে। জন্মগতভাবেই তার হাত ও পায়ের কোনো অঙ্গ ছিল না। কারণ সিরিয়ায় যুদ্ধ চলাকালে শিশুর মা বিষাক্ত স্নায়ু গ্যাস শ্বাস নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ঔষধ সেবন করলে তার মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

সিয়েনা অ্যাওয়ার্ডের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ইদলিবের একটি বাজারে হেঁটে যাওয়ার সময় বোমা হামলায় ছোট্ট শিশুর বাবা মুনজিরের ডান পা ক্ষতবিক্ষত হয়। এরপর তার সন্তান মুস্তাফা টেট্রা-অ্যামেলিয়া রোগের কারণে হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেয়। মুস্তাফার ভবিষ্যতে বিশেষ বৈদ্যুতিক কৃত্রিম অঙ্গের প্রয়োজন হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা হলো, এ ধরনের কৃত্রিম অঙ্গ তুরস্কে পাওয়া যায় না।

আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থার কাছে মুনজির তার সন্তানের জন্য কৃত্রিম অঙ্গের ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছেন। মুনজির স্নাতক সম্পন্ন করতেই নিজের পা হারান। এখন তার আশা, এক সময় তার সন্তানও বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনার জন্য স্কুলে যাবে। সে নিজ যোগ্যাতায় নিজের ভবিষ্যত গড়বে। মুনজিরের আরো দুজন সুস্থ সন্তান আছে।