জীবনের কাছে হেরে গেলেন সহকর্মীদের দেয়া আগুনে দগ্ধ সেই যুবক

রাজধানী ঢাকায় একটি ফিলিং স্টেশনে সহকর্মীদের দেয়া আগুনে দগ্ধ যুবক রিয়াদ হোসেন (২০) মারা গেছেন। গতকাল  শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিম্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। ঘটনার পর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন রিয়াদ। তবে চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে না হেরে গেলেন তিনি।

নিহত রিয়াদ ঢাকার জুরাইনের কমিশনার রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার বাবা ফরিদ মিয়া একজন গাড়িচালক। রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গাড়িচালক বাবাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি জুরাইনের ‘এস আহমেদ’ ফিলিং স্টেশনে ‘পার্টটাইম’ চাকরি নিয়েছিলেন রিয়াদ হোসেন।  মহামারীর মধ্যে পরিবারের ব্যয় মেটাতে বাবাকে সহায়তা করতে ৪ নভেম্বর ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নিয়েছিলেন রিয়াদ। গত মঙ্গলবার ভোরে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাকে।

জানা গেছে, ওই ফিলিং স্টেশনে রিয়াদসহ চারজন অপারেটরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ইমন রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। রিয়াদ ইমনকে ঘুম থেকে জাগিয়েছিলেন বলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার গায়ে আগুন দিয়ে দেয়।

শ্যামপুর থানার এসআই মো. মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ওই ফিলিং স্টেশনের সহকর্মীরা রিয়াদের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।

এ ঘটনায় রিয়াদের বাবার করা মামলায় মাহমুদুল হাসান ইমন (২২), ফাহাদ আহমদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনিকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়। সূত্র: যুগান্তর