‘জিয়াউর রহমানের হত্যাকারীরা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু’

বাংলাদেশকে ‘তাবেদার রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১৯৮১ সালের ৩০ মে যারা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিলো, তারা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু, বাংলাদেশের মানুষের শত্রু, বাংলাদেশের যে উত্থান হয়েছিলো, সেই উত্থানের শত্রু। তারাই ১/১১ থেকে সক্রিয় হয়ে উঠে আবার বাংলাদেশকে ওই একই জায়গায় নিয়ে যেতে চায়। তারা বাংলাদেশের যে আইডেনটিটি, সেটি ধ্বংস করতে চায়।’

জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৯ মে) রাতে বিএনপি আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের শত্রুরা মনে করেছিলো যে, বিএনপি শেষ। জিয়াউর রহমানের পর থেকে এ বিএনপি থাকবে না। বিএনপির রাজনীতি তো হচ্ছে এ দেশের মানুষের রাজনীতি, মাটির রাজনীতি। এটা বিএনপি ধারণ করে এবং সবসময় বিএনপি সেই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে এবং চতুর্দিকে আবার বিস্তার লাভ করেছে।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জিয়াউর রহমানে জীবন-কর্মের ওপরে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, এম এ কাইয়ুম, ঢাকা জেলার ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগরের ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণের মোস্তাক আহমেদ খান, বরিশাল দক্ষিণের এবায়দুল হক চাঁন, রাজশাহী মহানগরের মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, খুলনা জেলার শফিকুল আলম মনা, রংপুর মহানগরের সাইফুল ইসলাম, ময়মনসিংহ উত্তরের অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, দক্ষিণের ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, যশোরের অধ্যাপক নার্গিস বেগম, কুমিল্লা দক্ষিণের হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন, উত্তরের আখতারুজ্জামান সরকার, ফেনীর শেখ ফরিদ বাহার, হবিগঞ্জের জি কে গউস, সুনামগঞ্জের কলিমউদ্দিন আহমেদ মিলন, কক্সবাজারের শাহজাহান চৌধুরী, ফরিদপুরের সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা, নওগাঁর হাফিজুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের তৈমুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া এ আলোচনা সভায় দলের অঙ্গ সংগঠন যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন ও ছাত্র দলের ইকবাল হোসেন শ্যামলও বক্তব্য দেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ