জিম্বাবুয়ে ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশের জোড়া আঘাত

সিটিসিল্ক নিউজ ডেস্ক:
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশের দেওয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে।এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১২ রান করেছে জিম্বাবুয়ে।

২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তাকুদজোয়ানাশে কাইতানোকে শূন্য রানে এলবি করেন হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে ফের উইকেট হারায় তারা।

এবার তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া একটায় মাঠে গড়ায়। জিম্বাবুয়ের হয়ে এ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া সিকান্দার রাজা টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন।

এ নিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির পর সবকটি ওয়ানডেতে টস হারল বাংলাদেশ।প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসেনের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করেছে।

বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৩ ওভারে ৪১ রান তোলে। তবে রান আউটের শিকার তামিম ইকবাল ব্যক্তিগত ১৯ রানে ফেরেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক ৩০ বলে ৩টি চার হাঁকান। পরের ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শূন্য রানে এই ব্যাটার ব্র্যাড ইভান্সের বলে মাঠ ছাড়েন। একই ওভারে মুশফিকুর রহিমও শূন্য রানে ফেরেন।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়েন এনামুল হক। এই ওপেনার ৪৮ বলে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান। এরপর দলীয় শতকের দেখা পায় বাংলাদেশ।

এই জুটিতে তারা ৯০ বলে ৭৭ রান তোলেন। অবশেষে এনামুল হক আউট হন। ডানহাতি এই ব্যাটার ৭১ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৬ করে লুক জঙ্গুয়ের বলে বিদায় নেন। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধীর ব্যাটিং করতে থাকেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত তিনি ৬৯ বলে ৩৯ করে রিচার্ড এনগারাভার বলে বোল্ড হন।

মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে রান তোলার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। ৪৭ বলে তারা ৩৩ রান করেন। তবে ২৪ বলে ১৪ রান করে মিরাজ সিকান্দার রাজার বলে এলবি হন। শেষদিকে দ্রুত কিছু উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে উইকেটে অবিচল থাকেন আফিফ। তিনি ৮১ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি।

এ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ২-০তে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০১ সালের পর ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের চোখ রাঙানি দিচ্ছে।

এ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে পেসার এবাদত হোসেনের অভিষেক হচ্ছে। চোটের কারণে দ্বিতীয় ম্যাচে না খেলা মোস্তাফিজুর রহমান ফিরেছেন একাদশে। মোস্তাফিজ ও ইবাদতে পরিবর্তে বাদ পড়েছেন তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম।

সূত্র : আমাদের সময়