রবিবার , ২০ অক্টোবর ২০২৪ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জাল সনদধারীদের ছাঁটাই করে নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগের দাবি

Paris
অক্টোবর ২০, ২০২৪ ৬:৫৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

৬০ হাজার জাল সনদধারী শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষকদের নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।

রবিবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিয়োগ দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে এনটিআরসির নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম।

সংগঠনের ৫ দফা দাবি
(ক) ১ থেকে ১২তম সব নিয়োগবঞ্চিত সনদধারীরা যে বয়সে নিবন্ধন সনদ অর্জন করেছেন, সেই বয়স অনুযায়ী শর্তহীনভাবে সরাসরি নিয়োগ।

(খ) অনতিবিলম্বে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

(গ) ১ থেকে ১২তম সনদধারীদের জন্য মেরিট অনুযায়ী পৃথক ডাটাবেজ তৈরি ও সংরক্ষণ।

(ঘ) নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অন্যদের পরীক্ষা নেওয়া ও পরবর্তী ব্যাচের নিয়োগ বন্ধ রাখা।

(ঙ) ৬০ হাজার জাল সনদধারীকে চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করা ও তাদের আইনের আওতায় আনা।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে শিক্ষকরা সাক্ষাৎ করেন। সেখানে শিক্ষা উপদেষ্টা তাদের নিয়োগ মৌখিক আশ্বাসও দেন বলে নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষকরা জানান।

তারা বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে জানতে পারি আমাদের আবেদনটি নিয়োগ জটিলতা নিরসনে জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট তথ্য জানতে পারিনি। এ জন্য আমরা আইন উপদেষ্টার সাক্ষাতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে অভিমুখে লংমার্চ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

এদিকে দুপুর ১২টার পর শিক্ষকরা আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে লংমার্চের জন্য প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিলেও পুলিশের অনুরোধে তারা আবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের সেখানে অবস্থান করতে দেখা যায়।

শিক্ষকরা বলেন, ভেবেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের সঙ্গে হওয়া সব বৈষম্য দূর করে আমাদের নিয়োগ কার্যকর করবে। অথচ নিয়োগের কোনও আশ্বাস না পেয়ে আমরা বাকরুদ্ধ। গত সরকার আমাদের নিয়োগবঞ্চিত করেছে। প্রায় তিন বছর ধরে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছি, আন্দোলন করেছি, কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছি। আজ পর্যন্ত সমাধান পাইনি।

এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগবঞ্চিত হওয়ার আমরা হতাশ, অসহায় ও অর্থহীন হয়ে পড়েছি। এনটিআরসিএ বিভিন্ন সময় নেওয়া সিদ্ধান্ত, আইন পরিবর্তন, সংযোজন-বিয়োজনের ফলে নিয়োগবঞ্চিত হয়েছি। নিয়োগ দেওয়ার জন্য আইন পরিবর্তন করা হয়নি। গভর্নিং বডির অনৈতিক লেনদেনের জন্য আমরা নিয়োগবঞ্চিত হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নিয়োগ না দেওয়ার একটি বিশেষ কারণ হলো আমাদের রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে জাল সনদ দেওয়া হয়েছে। আমাদের নিয়োগ কার্যকর হলে তাদের এমপিও বাতিল হবে। জাল সনদ ধরা পড়বে। সে কারণে কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এখনও আমাদের নিয়োগপ্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

এ সময় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষক ফোরামের সভাপতি নীলিমা চক্রবর্তী, সিনিয়র সহসভাপতি নাসরীন সুলতানা, সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক দুলাল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ছামিউল আলম, সুমন দাস, মারুফ মহসিন, নূরুদ্দীন, প্রসেনজিৎ বারোই, আজিম উদ্দিন প্রমুখ।

 

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

সর্বশেষ - জাতীয়