অসুস্থতার কারণে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি সাইফ স্পোর্টিংয়ের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। সুস্থ হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই ফিরলেন জামাল, তার দল সাইফও পেল বড় জয়। আজ বুধবার মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলা রহমতগঞ্জকে ৩-১ গোলে হারায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
গত মৌসুমে লিগের দুই ম্যাচেই ড্র করেছিল দুই দল।
তবে এবার আর সাইফকে আটকাতে পারেনি গোলাম জিলানীর দল। এবারের লিগের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশকে ১-০ গোলে সাইফ স্পোর্টিং এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস এন্ড সোসাইটি।
ম্যাচের শুরুর দিকে সাইফের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছিল রহমতগঞ্জ কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আর সাইফকে ধরে রাখতে পারেনি। প্রথমার্ধে রহমতগঞ্জের রক্ষণভাগে আক্রমণের পসরা বসিয়ে দুই গোল তুলে নেয় সাইফ। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে ধারা বজায় রাখে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল কিন্তু নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে এক গোলের বেশি করতে পারেনি। সুযোগ এসেছিলো রহমতগঞ্জের সামনেও কিন্তু সুযোগ মিসের মিছিলে নেমে দলকে ম্যাচে ফেরাতে পারেনি ফরোয়ার্ডরা। শেষ দিকে এক গোল করে শুধুই ব্যবধান কমিয়েছে।
প্রথম মিনিটেই বিপদে ডেকে আনে সাইফ কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি রহমতগঞ্জের সানডে চিজোবা। গোলরক্ষক পাপ্পুর উদ্দেশে ব্যাক পাস বাড়িয়েছিলেন নাসিরুল ইসলাম, কিন্তু শটে ছিল না গতি। ছুটে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বক্সে ঢুকেন সানডে চিজোবা। কিন্তু তার নেওয়া দুর্বল শট গ্লাভসে আটকান পাপ্পু।
১৬ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। নাসিরুলের থ্রু পাস ধরে বাইলাইনের খানিকটা উপর থেকে মারাজ হোসেনের ক্রস থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ফাহিম।
৩৬তম মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুযোগ নষ্ট করেন ফজলে রাব্বী। ওয়ালি ফয়সালের ফ্রি কিকে সতীর্থের হেডের পর ছয়-গজ বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান ফজলে রাব্বী। তার দুর্বল শট গোলরক্ষক পাপ্পু আটকাতে না পারলেও গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে সাইফকে বাঁচান নাসিরুল ইসলাম।
৪০ মিনিটে সাইফের লিড দ্বিগুণ করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ওগবাহ। আসরোর গফুরোভের বাড়ানো বল বক্সে পেয়ে রহমতগঞ্জের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দেখে শুনে গতির শটে বল জালে জড়ান ওগবাহ। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
৬২মিনিটে এমেকা ওগবাহর সঙ্গে রসায়ন জমিয়ে তৃতীয় গোল এনে দেন মারাজ হোসেন। মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থের দেওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে খানিকটা দিক বদলিয়ে রহমতগঞ্জের দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বক্সে কাট ব্যাক করেন এমেকা ওগবাহ, বক্সের ঢুকে ডান পায়ের প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন মারাজ। ৭১ মিনিটে রহমতগঞ্জের হয়ে এক গোল শোধ দেন সানডে চিজোবা, তবে শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে।
এই জয়ে দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দুই ম্যাচেই হেরে তালিকার এগারোতম স্থানে রহমতগঞ্জ।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ