জাবরির ছেলে-মেয়েকে হত্যা করেছেন সৌদি যুবরাজ!

সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. সাদ আল-জাবরির ছেলে-মেয়েকে হত্যা অথবা কারাবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সাদ আল-জাবরির বড় ছেলে খালিদ অভিযোগ করেছেন, তার বাবাকে সৌদি আরব ফিরিয়ে নিয়ে শাস্তি দিতে দুই ভাই-বোনকে জিম্মি করেছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রশাসন। তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদেরকে মেরে ফেলা হয়েছে নাকি কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না তারা।

খালিদ বলেন, গত মার্চে রাজধানী রিয়াদের বাড়ি থেকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ২১ বছর বয়সী ভাই ওমর ও ২০ বছর বয়সী বোন সারাহকে তুলে নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, গত ১৬ মার্চ ভোরে ২০টি গাড়িতে করে আসা ৫০ জনের মতো নিরাপত্তাকর্মী ওমর ও সারাহকে বিছানা থেকে তুলে নিয়ে যায়। আমাদের রিয়াদের বাড়িতে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে, সিসিটিভির মেমোরি কার্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

খালিদ বর্তমানে তার বাবার সঙ্গে কানাডায় রয়েছেন। ড. সাদের এই ছেলের ধারণা, তার বাবাকে দেশে ফেরাতে দরকষাকষির গুটি হিসেবেই তার দুই ভাইবোনকে আটক করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদি আরব ফেরার পরপরই ড. সাদকে হত্যা করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার স্বজনরা।

ড. জাবরি সৌদি আরবের সাবেক যুবরাজ নায়েফের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি আমেরিকার একটি আদালতকে জানিয়েছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান তাকে হত্যার জন্য কানাডায় ঘাতক দল পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তারা বিমান বন্দরে ধরা পড়ায় তিনি বেঁচে গেছেন।

২০১৫ সালে সৌদি রাজা আবদুল্লাহর মৃত্যুর ফলে তার সৎ ভাই সালমান সিংহাসনে বসার পর থেকেই ড. সাদের ক্ষমতা কমে আসে। সালমান ২০১৭ সালে তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স বানিয়ে নায়েফকে সরিয়ে দেন। ওই বছরই সাদ দেশ ছাড়েন। পার্সট্যুডে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ