‍‍‍‍জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অংশীদার : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অংশীদার।শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গ্যালারিতে আয়োজিত এক বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্ট মেকিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল বারেক আলভী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।

জাপান দূতাবাস, জাপান ফাউন্ডেশন ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যৌথ আয়োজনে ‘ফটোগ্রাফিক ইমেজেস অ্যান্ড ম্যাটার : জাপানিজ প্রিন্টস অব দ্য ১৯৭০’ শীর্ষক দুই সপ্তাহব্যাপী (১৬ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর) এ বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, ‘২০১৬ সালের হোলি আর্টিসানের বেদনাদায়ক ঘটনায় ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত জাপানের ৭ নাগরিক নিহত হন। আমি তাদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সহানুভূতি জানাই। জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম দেশ হওয়ায় এ হৃদয়বিদারক ঘটনায়ও দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা একটুও কমেনি। বরং সেটা কাটিয়ে দুই দেশের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের জাপানিজ প্রিন্ট প্রদর্শনীটি মূলত ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী। এটি নেপাল থেকে বাংলাদেশে এসেছে এবং এরপর আরও অন্যান্য দেশে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে প্রিন্ট মেকিং ব্যাপকভাবে বিকশিত হয় এবং ১৯৭০-এর দশকে তা উন্নতির শিখরে পৌঁছে। এ প্রদর্শনীটি জাপানের ১৪ জন প্রখ্যাত শিল্পীর সৃজনশীল কাজগুলো আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে, যা মূলত প্রিন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে সমসাময়িক শিল্পকলাকে প্রদর্শন করেছে।’

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘ইতো নাওকি একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ। তিনি শিল্প-সংস্কৃতির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’

সূত্র: কালবেলা