জাপানে বেশিরভাগ এলাকা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার

করোনার বিস্তার ঠেকাতে নতুন আইন প্রণয়ন করে দেশজুড়ে যে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, বেশিরভাগ এলাকা থেকে তা প্রত্যাহার করেছে জাপান। দেশটিতে করোনার সংক্রমণ অনেকটা কমে আসায় এই সিদ্ধান্ত। বিবিসির প্রতিবেদন বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

জাপানে ৪৭টি প্রশাসনিক অঞ্চল রয়েছে। এরমধ্যে ৩৯টিতে জারি থাকা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে রাজধানী টোকিও ছাড়াও ওসাকা ও উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইদোতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়তে থাকায় এসব অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, জাপানে করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যত মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছিল এখন প্রতিদিন গড়ে তা সাত ভাগের এক ভাগ। তবে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হলেও লোকজনকে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আবে আরও জানিয়েছেন, আগামী ৩১ মে এর আগে বাকি অঞ্চলগুলো থেকেও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হবে। চীনে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর জাপানে করোনার সংক্রমণ বেশ ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু দ্রুতই তা নিয়ন্ত্রণে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ শুরু হলে জরুরি অবস্থা জারি হয়।

ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙ্গর ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীতে গণহারে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হলে তা মোকাবিলা নিয়ে জাপানের সমালোচনা শুরু হয় প্রথমদিকে। কিন্তু রাশিয়াও ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো সংক্রমণ মহামারি আকার ধারণ না করায় করোনা মোকাবিলায় দেশটির প্রশংসাও হচ্ছিল বিশ্বজুড়ে।

করোনা মহামারির সার্বক্ষণিক তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফোর তথ্য অনুসারে, জাপানে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৭৮ জন মারা গেছেন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার রোগী।