জাতীয় সরকার গঠনে ডা. জাফরুল্লাহর নাম প্রস্তাব

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সত্যিকারের নির্বাচন কমিশনের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সোমবার দুপুরে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এম‌এজি ওসমানীর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণ উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক ও তার প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় স্মরণ মঞ্জ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য তিনি বলেন, সত্যিকারের নির্বাচন কমিশন করতে হলে আমাদেরকে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় সরকার নয়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ রেহেনা, তার ছেলে, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, বিএনপির যারা আছে তাদের নিয়ে আর আমরা সাধারণ মানুষ যারা আছি তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার করেন।

সংগঠনটির সভাপতি প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলেন সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতির সামনে কঠিন সমস্যা আছে। এক দিকে করোনা আরেকদিকে ডেঙ্গি। আরেকটা নতুন ভাইরাস; নিপা ভাইরাস। তিন রোগেরই চিকিৎসা সহজ। করোনায় সবাইকে টিকা দিতে হবে। সস্তায় টিকা পাওয়া যায়। কিন্তু সস্তায় টিকা কিনলে সরকারের পকেট ভরে না। তাই তারা কিনবেন না। ডেঙ্গির চিকিৎসা ৮০ পয়সার প্যারাসিটামল। মশারি টানাতে হবে আর প্যারাসিটামল খেতে হবে। এটাই চিকিৎসা কিন্তু এই প্যারাসিটামল বাজারে পাওয়া যায় না। আজ যদি ৮০ পয়সার প্যারাসিটামল পাওয়া না যায় তাহলে উন্নয়ন কতটা হয়েছে ভেবে দেখেন।

ডেঙ্গি জ্বর থেকে সবাইকে সাবধান করে তিনি বলেন, আপনারা মশারি টানিয়ে ঘুমাবেন। যে কোনো ব্যাথা হলে প্যারাসিটামল খাবেন।

গণতন্ত্রহীনতা আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামনের নির্বাচন নিয়ে সরকার নতুন পরিকল্পনা করছে। কারো ভোট দিতে হবে না। এই যে গণতন্ত্র হত্যা করল। এই হত্যাটা কে করেছে? সেই ঘুসখোর, লুটপাটকারির নাম কী? তিনি হচ্ছেন খায়রুল হক (সাবেক প্রধান বিচারপতি)। জাতিকে শেষ করে দিয়েছে। খায়রুল হকের বিচার হওয়া দরকার। একজন লোক হত্যা করলে ফাঁসি হয়, জেল হয়। আমি ফাঁসির বিরুদ্ধে, তাই তাকে আজীবন সশ্রম কারাদণ্ড হওয়া উচিত।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজন জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সরকারের মাথায় কোন ষড়যন্ত্র খেলা করছে তা এখনো স্পষ্ট হয়ে ওঠে নাই। তবে একটি না একটি ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, যারা মনে করেন আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারলে আমরা গণতন্ত্রের স্বাদ পাব, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। উনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন কমিশন কেনো প্রধান বিচারপতিরও ক্ষমতা নাই। উনি যেভাবে চায়বে সেভাবে হবে।

নিরেপক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওরা (আওয়ামী লীগ) সেই রকাম নির্বাচন কমিশন গঠন করতে দেবে না। ওরা সেই রকাম বিচার ব্যবস্থা গঠন করতে দেবে না। ওরা সেই রকম নির্বাচন করতে দেবে না। সেই কারণেই একটার পর একটা নিজেরাই ষড়যন্ত্র করছে, একটার পর একটা বুদ্ধি আটছে। পরামর্শ করছে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই জিয়ার কবর স্থান থেকে শুরু করে তার মুক্তিযুদ্ধে অবদান নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে। পেছনে দুরভিসন্ধি আছে।

সূত্র:যুগান্তর