জলবায়ু সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ভবিষ্যতে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে খাপ খাওয়াতে সক্ষম ফসলের নতুন নতুন জাত ও কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। একই সাথে কৃষি উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারেও সচেতন হতে হবে। দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির ১৭ তম জাতীয় সম্মেলন ও সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রশমন ও অভিযোজন-উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে হালনাগাদ এনডিসিতে মোট ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে কৃষি সেক্টরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে অল্টারনেট ওয়েটিং এন্ড ড্রাইং পদ্ধতির ব্যবহার, ধানের নতুন প্রজাতির উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, সার ব্যবস্থাপনা ও উন্নততর ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কার্বন ও মিথেন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ‘

তিনি আরো বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি অর্থনীতিবিদদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ‘

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বক্তব্য রাখেন কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, সাবেক সিনিয়র সচিব এবং সম্মেলন ও সেমিনার ব্যাবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক মো. মেসবাহুল ইসলাম। সেমিনারে সারমর্ম উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মিহির কুমার রায় ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ