জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ চেষ্টা করছে : পরিবেশমন্ত্রী

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক : 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার তার সীমিত সম্পদ দিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ থেকে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট তহবিলে ৪৮০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছি। তাছাড়া, আমরা আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত সাত বছরে জলবায়ু সংক্রান্ত ব্যয় দ্বিগুণ করেছি। আমাদের এনডিসির পাশাপাশি আমাদের ন্যাপকেও বাস্তবায়ন করতে হবে।

আজ রবিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাক্ষাৎকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী যুগ্ম-সচিব জাকিয়া আফরোজ, উপসচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ধরিত্রী কুমার সরকার এবং পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার কামার আব্বাস খোখার উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত এবং বৃহত্তর নির্গমনকারী দেশগুলো আমাদের সকলকে ক্রমবর্ধমান বিপদের মধ্যে ফেলে ১.৫°c তাপমাত্রার লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে তাদের নির্গমন কমাতে যথেষ্ট আন্তরিক নয়। ‘

তিনি মিশরের শারম আল-শেখ-এ আসন্ন কপ ২৭ এর সময় জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা সমাধানের জন্য উন্নত ও উন্নয়নশীল সব পক্ষকে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্য পূরণের জন্য উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই অর্থ সরবরাহ বাড়াতে হবে। ‘

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একই অঞ্চল ও গোষ্ঠীভুক্ত হওয়ায় আসন্ন কপ ২৭ এর আলোচনা প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানেরও একই অবস্থান থাকা উচিত। ‘

পাকিস্তানি হাইকমিশনার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হলেও বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানও এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করছে। ‘

তিনি আরো বলেন, ‘এর জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোকে অবশ্যই দায় নিতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একই ধরনের দাবি তুলতে পারে। ‘

তিনি এসময় জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণা, অভিজ্ঞতা বিনিময়, একই সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি, বিশুদ্ধ পানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব করেন।

সূত্র : কালের কণ্ঠ