সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ঢাকার কল্যাণপুরের আস্তানায় অভিযানে হতাহত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সময় পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেন ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সময়ের আবেদন করেন।
আবেদনের শুনে মহানগর হাকিম মাযহারুল ইসলাম ৩১ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেন।
১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিল আদালত।
গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে ‘জাহাজ বাড়ি’ নামে পরিচিত তাজ মঞ্জিলের ছয় তলা ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযানে গিয়ে রাতে হামলার মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরে মঙ্গলবার ভোরে সেখানে সোয়াটের বিশেষ অভিযানে নিহত হন সন্দেহভাজন নয় জঙ্গি।
ওই বাসায় অস্ত্র, বিস্ফোরকের পাশাপাশি আইএস এর পতাকা ও কালো পাঞ্জাবি পাওয়ার কথা জানালেও পুলিশের ধারণা, হতাহতরা সবাই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গিদল জেএমবির সদস্য।
নিহত নয়জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরা হলেন- দিনাজপুরের আব্দুল্লাহ (২৩), পটুয়াখালীর আবু হাকিম নাইম (২৪), ঢাকার ধানমণ্ডির তাজ-উল-হক রাশিক (২৫), ঢাকার গুলশানের আকিফুজ্জামান খান (২৪), ঢাকার বসুন্ধরার সেজাদ রউফ অর্ক (২৪), সাতক্ষীরার মতিউর রহমান (২৪) এবং নোয়াখালীর জোবায়ের হোসেন (২২) এবং রংপুরের পীরগাছার রায়হান কবির (২০)।
হতাহত দশজন ছাড়াও ইকবাল, তামিম চৌধুরী, রিপন, খালিদ, মামুন, মানিক, জোনায়েদ খান, বাদল, আজাদুল ওরফে কবিরাজের নাম আসামির তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় ওই ঘটনায় মামলা করেন।
ওই ঘটনায় তাজ মঞ্জিলের মালিকের স্ত্রী মমতাজ পারভীন ও ছেলে মাজহারুল ইসলামসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্র: বিডি নিউজ