ছেলের নামে টুর্নামেন্ট করে মাঠেই খেলোয়াড়দের পেটালেন ইউএনও

নিজের ছেলের নামে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে মাঠেই প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের বেধড়ক পেটালেন ইউএনও। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফি উল্লাহ শুক্রবার বিকালে দিরাই সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটান। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিজের শিশু ছেলের নামে ‘রাফসান একাডেমি’ করে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেন ইউএনও। ওই টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের খেলা শুক্রবার বিকালে দিরাই সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসন দলের প্রতিপক্ষ ছিল উপজেলা বিদ্যুৎ প্রকৌশলী দল।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, খেলা আরম্ভ হওয়ার আগেই উপজেলা প্রশাসন দলে বহিরাগত খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে চাইলে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের আপত্তি উঠে। এ নিয়ে দুই দলের আপত্তি-অনাপত্তির মাঝেই খেলা শুরু করেন রেফারি। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে একটি ফাউল নিয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন ইউএনও।

একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় আবাসিক বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান কমলেশ দাসের দিকে তেড়ে যান তিনি। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় কমলেশ দাসকে ধাক্কা দিয়ে মাঠে ফেলে দেন। এ সময় দুই দলের খেলা ফেসবুক লাইভে প্রচার করছিলেন বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী নুরুজ্জামান মুকুল।

বিষয়টি ইউএনও দেখে দৌড়ে গিয়ে নুরুজ্জামানকে কলার ধরে মারতে মারতে তার মোবাইলটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে মোবাইলটি কেড়ে নিতে না পারায় পুরো ঘটনাটি ফেসবুকের লাইভে চলে যায়। এ ঘটনার পর খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

ইউএনওর এমন ব্যবহারে উপস্থিত দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তবে পরিস্থিতি টের পেয়ে অধীনস্থ কর্মচারীদের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে সরকারি গাড়িতে উঠে মাঠ ত্যাগ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী হায়দার আলী বলেন, একজন ইউএনও যখন অন্যায়ভাবে কারও গায়ে হাত তুলেন, তখন আর কিছুই বলার থাকে না।

দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফি উল্লাহ বলেন, খেলায় সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, বিষয়টি মিটে গেছে। সূত্র: যুগান্তর