ছিলেন মডেল, অতঃপর যেভাবে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন স্মৃতি ইরানি

ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মডেলিং দিয়ে। তারপর অভিনেত্রী। আর এখন তিনি ভারতের কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। স্মৃতি ইরানির জীবন যেন রূপকথার কাহিনি। আজ তার ৪৫তম জন্মদিন।

মা বাঙালি। নাম শিবানি বাগচি। বাবা পাঞ্জাবি-মরাঠি অজয় কুমার মলহোত্রা। তিন সন্তানের মধ্যে বড় স্মৃতি।

২০০০ সালে পারসি জুবিন ইরানিকে বিয়ে করেন স্মৃতি। এই দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ে। ছেলে জোহর, মেয়ের নাম জোইশ। তার স্বামীর প্রথম পক্ষের মেয়ের নাম শ্যানেল।

১৯৯৮ সালে মিস ইন্ডিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। তবে সেরা ৯ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি। ওই বছরেই মিকা সিংয়ের ‘শাবন মে লাক গায়ি আঁগ’ অ্যালবামে ‘বোলিয়াঁ’ গানে অভিনয় করেন স্মৃতি।

২০০০ সালে স্মৃতির ক্যারিয়ার মোড় নেয়। একতা কাপুরের ‘কিউকিঁ সাস ভি কাভি বহু থি’ সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। তার আগে ‘আতিস’ ও ‘হাম হ্যায় কাল আজ আওর কাল’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন। পরপর সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পাঁচ বছর ইন্ডিয়ান টেলিভিশন অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন স্মৃতি ইরানি। চারবার জিতেছিলেন ইন্ডিয়ান টেলি অ্যাওয়ার্ড।

২০০৩ সালে রাজনীতিতে আসেন স্মৃতি ইরানি। যোগ দেন বিজেপিতে। ২০০৪ সালে মহারাষ্ট্রে বিজেপির যুব শাখার সহ-সভাপতি হন। ২০১২ সালে বিজেপির সহ-সভাপতি।

২০১৪ সালে আমেঠিতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হেরেছিলেন স্মৃতি। তবে ৫ বছর পর, ২০১৯ সালে ওই কেন্দ্রেই রাহুলকে হারান তিনি। মোদী জামানার শুরুতে তাকে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বস্ত্র এবং মহিলা ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী স্মৃতি।

সাফল্যের মধ্যে বিতর্কও রয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। ২০১৯ সালে নির্বাচনী হলফনামায় স্মৃতি জানিয়েছেন, দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন লার্নিংয়ে স্নাতকে বাণিজ্য শাখায় ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ৩ বছরের পাঠক্রম শেষ করেননি।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন