ছাত্রাবাসে নববধূ গণধর্ষণ: আসামি রবিউল ৫ দিনের রিমান্ডে

সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ মামলার আসামি রবিউল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার বিকালে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে দুপুরে এই মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।

রোববার রাত ১০টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের নিজগ্রাম থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

এর আগে রোববার সকাল ৮টা দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আর অর্জুনকে গ্রেফতার করা হয় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে।

সাইফুর অস্ত্র মামলারও আসামি। ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকু, দুটি লোহার পাইপ, প্লাসসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করে।

ছাত্রলীগের এই নেতার বিরুদ্ধে হোস্টেল সুপারের বাংলো দখলের অভিযোগও রয়েছে।

গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদীহয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়।

এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও অধরা আসামিমাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮)।

 

সূত্রঃ যুগান্তর