‘ছাত্রদল-যুবদল ১০ টাকা, ১০ টাকা’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাস্তা দিয়ে একের পর এক মিছিল ঢুকছে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ‘এই ছাত্রদল, যুবদল, ১০ টাকা, ১০ টাকা’ ডেকেই যাচ্ছেন মো. জাহাঙ্গীর। কখনও কখনও মিছিল থেকে দু’একজন বেরিয়ে আসছেন। জাহাঙ্গীরের কাছে থাকা বিএনপির দলীয় নানারকম ব্যাজ কিনছেন।

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশস্থলে এভাবে প্রায় ২০ জন ব্যাজ বিক্রি করছেন। জাহাঙ্গীরের দাবি, তারা সবাই ঢাকা থেকে একসঙ্গেই এসেছেন। সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। দেশের যেখানে সমাবেশ হচ্ছে, এই ব্যাজ বিক্রেতা হয়ে সেখানেই যাচ্ছেন।

রাজশাহীতে সমাবেশ হবে শনিবার। তার আগেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এসে হাজির হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের কাছেই ব্যাজ বিক্রি করতে দেখা যায় জাহাঙ্গীরকে। ‘এই ছাত্রদল, যুবদল, ১০ টাকা, ১০ টাকা। যেইডা লন ১০ টাকা’ বলে হাঁক পেড়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

জাহাঙ্গীর বললেন, ‘ঢাকা থিইক্যা আমরা ২০ জন সারাদ্যাশেই যাইতাছি। কুনু জাগায় সমিস্যা হয়নি। আপনাগো রাশশাহীতে আইস্যা হোটেলে থাকনের জাগাও পাচ্ছি না। বিএনপির জিনিসপত্র বিককিরি করতাছে দেইখ্যা একজনরে হোটেলেত থন নামাই দিছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি পল্টন থানা বিএনপির কমিটিত আছি। কিন্তু নাম ভাঙাই না। নাম জানাজানি হইলি সমিস্যা।’ কথার ফাঁকে আবার একইভাবে ছাত্রদল, যুবদলের ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে শুরু করলেন জাহাঙ্গীর।

পাশেই ছিলেন আরেক ব্যাজ বিক্রেতা চান মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০ জন আছি, অন্য কুনু ব্যাচ পাইবেন না। সব বিএনপির। যেইহানেই বিএনপির প্রোগরাম, সেইহানেই আমরা।’ তারপর চান মিয়াও ‘খালি ২০ টাকা, ২০ টাকা। বাইছা লন, বাইছা লন ২০ টাকা, ২০ টাকা’ বলে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে শুরু করলেন। বললেন, ধানের শীষ প্রতীক ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ছবি থাকা এসব ব্যাজ তারা কেনেন ১৮ টাকা পিস দরে। বিক্রি করেন ২০ টাকায়। সমাবেশে যাওয়ার গাড়িভাড়ার টাকা উঠে এলেই তারা খুশি।

বিএনপির সমাবেশ হবে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ)। এখন সেখানে মঞ্চ এবং মাঠ প্রস্তুতের কাজ চলছে। এ মাঠে এখন অন্য নেতাকর্মীদের প্রবেশের সুযোগ নেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরা পাশের ঈদগাহ মাঠে অবস্থান করছেন। বিরাট ঈদগাহের প্রায় পুরোটাই তাঁবুতে তাঁবুতে ভরে গেছে। তারপরও এখনও শ্লোগানে শ্লোগানে মিছিল নিয়ে একটার পর একটা দল ঢুকছে ঈদগাহ মাঠে।

জি/আর