ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ১৮

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ ও খাগড়াছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে নিপীড়নের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটায় ১৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছাত্রদলের আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

সোমবার দুপুরে নোয়াখালী ছাত্রদল জেলা শহরের মসজিদ মোড় থেকে প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে। মিছিলটি মাইজদী পৌরবাজারে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে শুরু করলে এ ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে সোমবার রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান তার চেম্বারে প্রেস ব্রিফিং করেন।

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে নোয়াখালী ছাত্রদল জেলা শহরের মসজিদ মোড় থেকে প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে। মিছিলটি মাইজদী পৌরবাজারে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করলে অতর্কিতভাবে পুলিশ সমাবেশে লাঠিচার্জ করে।

এতে নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতা নুর হোসেন বাবু, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এনবিএস রাসেল, নোয়াখালী পাবলিক কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওয়াসিম গুরুতর আহতসহ ছাত্রদলের ১৮ নেতাকর্মী আহত হন।

এদিকে পুলিশ পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব বিল্লাহ তুষার, রনি সারোয়ার, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সোহাগ, সদর উপজেলা ছাত্রদল নেতা সুজন হাম্মাদী, পৌর ছাত্রদল নেতা আশরাফুল করিমসহ ছাত্রদলের আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে পুলিশি লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা এবং গ্রেফতারকৃত সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মো. শাজাহান, জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান।

সুধারাম থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, বিনা অনুমতিতে অতর্কিতভাবে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। প্রধান সড়ক অবরোধ করে গণজমায়েত করার সময় তাদের সরিয়ে দেয়া হয়।

 

সূত্রঃ যুগান্তর