ছক্কায় ছক্কায় আইপিএলে এবার বল হারাল ১০টি!

ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ মানেই ধুম-ধাড়াক্কা চার-ছক্কার ফুলঝুরি। কিন্তু এবার যেন একটু বেশিই। মরুভূমিতে ছক্কার ছড়াছড়ি। প্রতিবছর আইপিএলে ছক্কা দেখাই যায়। এবারও মুড়ি-মুড়কির মতো ছক্কা ঝরছে।

টি-টোয়েন্টি খেলার এটাই বিশেষত্ব। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। দুবাই, শারজা এবং আবুধাবিতে এত ছক্কা হচ্ছে যে, বল হারিয়ে যাচ্ছে অহরহ! সে বল আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এবার মহামারির কারণে আরব আমিরাতের তিনটি স্টেডিয়ামে ‘বায়ো বাবল’ নিয়ম মেনে খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তার ফলে মাঠে দর্শকদের ঢোকার অনুমতি নেই। তেমনই মাঠের ধারে বসার অনুমতি নেই বল-বয়দেরও। ফলে বল যখন ফাঁকা গ্যালারির আনাচে-কানাচে গিয়ে পড়ছে, তখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। বল খুঁজে নিয়ে আসার জন্য বল বয় পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বল হারিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বল হারানোর জন্য ভারতীয় বোর্ডের খরচ বাড়ছে। বারবার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে নতুন বলের।

চলতি সপ্তাহে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালুরু বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচে মোট ১০টি বল হারিয়েছে। ছক্কার বলগুলো আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি যে সব ছক্কা স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে পড়ছে, সেগুলোও পাওয়া যাচ্ছে না।

যেমন, শারজায় ধোনির ছক্কা স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে রাস্তায় পড়ে। জনৈক ক্রিকেট ভক্ত সেই বল কুড়িয়ে নিয়ে চলে যান। যা ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং পরবর্তী সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের আইপিএলে শুরু থেকেই ছক্কার আধিক্য দেখা যাচ্ছে। কারণ, এমনিতেই আরব আমিরাতের বাইশ গজ বোলারদের কাছে বধ্যভূমি। প্রতিযোগিতার শুরুর দিকে ব্যাটসম্যানদের টাইমিং ঠিকঠাক হচ্ছে। বল উড়ে যাচ্ছে মাঠের বাইরে।

তবে, সময় যত গড়াবে ততই এখানকার মরু শহরের বাইশ গজের গতি রুদ্ধ হবে। তখনই দেখার বিষয় হল, এত সহজে ব্যাটসম্যানেরা ছক্কা ওড়াতে পারবেন কি না? সময়ই তার উত্তর দেবে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ