নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগারঁ বদলগাছি উপজেলার মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসনাত জাহান খান সোমবার (৪জুলাই) বিকেলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তদন্ত করেছেন। এসময় তিনি অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানের মাসুদ রানার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নে কর্মরত ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তা। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএর পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসনাত জাহান খানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাসুদ রানা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত। এঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং পরিষদের একটি কক্ষ খাট-বিছানা-বালিশ দিয়ে সুসজ্জিত করায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।
ওই নারী উদ্যোক্তা বলেন, ‘সরকার দলীয় প্রভাবশালী চেয়ারম্যান মাসুদ রানা গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্ব থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছেন। তিনি মুঠোফোনে এবং বেশকিছু চিঠির মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাকে যেসব কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন তার যাবতীয় প্রমাণ আমি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি একজন বিবাহিত নারী এবং আমার দুটি জমজ কন্যা সন্তান আছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের এমন কু-প্রস্তাবের ফলে আমার কর্মক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। ঠিক একইভাবে সাংসারিক কলহের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে আমার বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটেছে। এমতাবস্থায় আমার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কাজ এবং সামাজিক চলাচলে বিষদ বাধার সৃষ্টি হয়েছে। যার পরিমান দিন-দিন বৃদ্ধি পাইতেছে এবং প্রতিনিয়ত আমার সম্মানহানি ঘটছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন ওই নারী।’
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানার সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি এবং তিনি তার মুঠোফোন রিসিভ করেননি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসনাত জাহান খান বলেন, আমি প্রাথমিক তদন্তে এসে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেছি। সঠিক ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি। তদন্তে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।
জি/আর