চেমসফোর্ডে আইরিশদের বিপক্ষে দেখা মিলবে সেই চেনা তামিমের!

স্পোর্টস ডেস্ক :

এই আয়ারল্যান্ডের সাথে শেষ সিরিজে নিজের রেকর্ডকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছেন মুশফিক-সাকিবরা। মুশফিক ২ খেলায় করেছেন (৪৪ ও ১০০*) মোট ১৪৪ আর সাকিবের ১১০ রানের সঙ্গে ছিল ১ উইকেট।

এমনকি অভিষেক হওয়া তাওহিদ হৃদয়ও (৮৫ বলে ৯২, ৩৪ বলে ৪৯) আবির্ভাবে নিজের আগমনীবার্তা দিয়েছেন। সে তুলনায় তামিম অনেকটাই অনুজ্জ্বল, নিষ্প্রভ। আগের চেয়ে ফ্যাকাশে।

ওই সিরিজের তিন ম্যাচে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৩, ২৩ ও অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস। তামিমের মানের একজন ব্যাটারের সঙ্গে যে পরিসংখ্যান একদমই যায় না।

বলার অপেক্ষা রাখে না, ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান (২৩৭ খেলায় ৮২১০ রান), সর্বাধিক ১৪ সেঞ্চুরি ও সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরি (৫৫টি)-প্রায় সব রেকর্ডই তামিমের।

এমনকি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও সাকিব-মুশফিকের তুলনায় তামিমের রেকর্ড, পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩ ওয়ানডেতে ২ বার নটআউট থাকা তামিমের মোট রান ৫৭৫। গড় ৫২.২৭। একটি শতক (২০০৮ সালে শেরে বাংলায় ১৩৬ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১২৯) আর তিনটি (৭৪, ৬৪* ও ৫৭) অর্ধশতক।

সেখানে সাকিব আল হাসানের সংগ্রহ ১৩ ম্যাচে ২৮৫। সেঞ্চুরি নেই, তিনটি হাফসেঞ্চুরি। বোলার সাকিবের নামের পাশে ১৩ খেলায় উইকেট ১৩টি। সেরা বোলিং ২/১৬। মুশফিকুর রহিমের ১০ খেলায় রান ২৬৯। একটি সেঞ্চুরি। আর ৮ ইনিংসে কোনো ফিফটিও নেই।

সিলেটে আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছিল মোটে ৬৭ রান। অথচ এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আগের ১০ ইনিংসে রীতিমত রানের নহর বইয়ে গেছে তামিমের ব্যাটে। ইনিংসগুলো ছিল-৫৭, ৪৭, ৬৪*, ৪৪, ৭৪, ৫, ১২৯, ৪৬, ১৩ এবং ২৯ রানের।

ফর্ম যে খুব খারাপ হয়ে গেছে, তা নয়। ইনজুরি ভুগিয়েছে বেশ। সাম্প্রতিক সময় বা নিকট অতীতে কিছু সিরিজ, সফর বা ফরম্যাট খেলা হয়নি শতভাগ সুস্থ না থাকায়। স্ট্রাইকরেট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তির্যক কথাবার্তা তার মানসিক অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার জন্যই হয়তো স্বাভাবিক পারফরম্যান্সটা দেখাতে পারছেন না তামিম।

মোদ্দা কথা, সেই চেনা তামিমকে দেখা যাচ্ছে না প্রায় দুই বছর ধরে। তার সাবলীল, উজ্জ্বল, চপল, মারকুটে ব্যাটিংং; বাহারি চটকদার ফ্রি স্ট্রোক প্লে চোখে পড়ছে অনেক কম। মাঝে ১৮ ম্যাচে শতরানের দেখা নেই। তবে হাফসেঞ্চুরি ছিল চারটি।

শেষ সেঞ্চুরি ২২ মাস আগে; ২০২১ সালের ২০ জুলাই (হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৭ বলে ১১২)। শেষ অর্ধশতকটিও (৪৫ বলে ৫০) ওই একই মাঠে জিম্বাবুয়ের সাথে গত বছর ৭ আগস্ট। ৯ মাস পর এবার আয়ারল্যান্ডের সাথে চেমসফোর্ডে কি তামিম নিজেকে খুঁজে পাবেন?