সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
জাপান সাগরে চারটি বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চারটির মধ্যে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ১ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের গিয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, চীন সীমান্তবর্তী উত্তর কোরিয়ার টোংচাং-রি অঞ্চল থেকে সোমবার এ চার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
কোন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা, তা নিশ্চিত নয়। তবে যেকোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু প্রযুক্তি পরীক্ষায় উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৭টা ৩৬ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে। কোন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, তা নির্ধারণে কাজ চলছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান ফোয়াল ঈগল সামরিক মহড়ার কারণে শুক্রবার পিয়ংইয়ং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দেয়। দুই দেশের এই সামরিক মহড়াকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে পিয়ংইয়ং।
সোমবারের এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ায় সবশেষ সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পরীক্ষার মাধ্যমে এসব ক্ষেপণাস্ত্র উন্নত করা হয়েছে।
তবে এখনো অনেকে মনে করেন, ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে এমন ছোট ধরনের পরমাণু ওয়ারহেড তৈরি করতে সক্ষম হয়নি উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়া বারবার দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু ও মহাকাশ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। কিন্তু বিশ্বাস করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে পর্যন্ত আঘাত করতে সক্ষম।
গত মাসে উত্তর কোরিয়া দাবি করে, তারা নতুন এক ধরনের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে, যা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন তাদের নেতা কিম জং-উন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এটিই ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। জাতিসংঘসহ এর নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
টোংচাং-রি অঞ্চলটি সোহে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের স্থান। এ স্থানটি প্রতিবেশী দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানটি পর্যবেক্ষণে রাখতে সেখানে স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদসংস্থা ইয়োনহ্যাপ।
এদিকে, রোববার দক্ষিণ কোরিয়া এক ঘোষণায় জানায়, উত্তর কোরিয়া থেকে যারা গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে পালিয়ে আসবেন, তাদেরকে আগের চেয়ে চার গুণ বেশি অঙ্কের পুরস্কার দেওয়া হবে এবং এর পরিমাণ হবে ৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
সূত্র: রাইজিংবিডি