আমানুল হক আমান, বাঘা
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে ভোটাররা চেনেন না অনেক প্রার্থীকে। নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী বেশিরভাগ প্রার্থী নতুন মুখ হিসেবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ প্রার্থীর মধ্যে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) থেকে ৭২ বছর বয়সের মহসিন আলী অংশগ্রহণ করছেন। তিনি রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাশ। তার বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ২ লাখ টাকা।
অষ্টম শ্রেণি পাশ জাকের পার্টির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন আলী। তার বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক শামসুদ্দিন রিন্টু এসএসসি পাশ। তার বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) প্রার্থী উপজেলা কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুস সামাদ মাস্টার্স পাশ। তার ব্যাংক হিসাব দেখানো হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু) জুলফিকার মান্নান জামী মাস্টার্স পাশ। তাঁর ব্যাংকে রয়েছে ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৬০০ টাকা।
বিএ পাশ সাবেক সংসদ সদস্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহেনুল হক রায়হান। তার নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্যে জানা গেছে বিগত নির্বাচনের তুলনায় আয় বেড়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছিল ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৭৭ টাকা। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আয় দেখানো হয়েছে ৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।
আওয়ামী লীগ থেকে ৩ বারের নির্বাচিত এমপি ও বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম। তিনি এমবিএ, আইবিএ পাশ। তার বার্ষিক আয় ৭ কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। প্রার্থীদের মধ্যে শাহরিয়ার আলম ও রাহেনুল হক রায়হান বাদে সবাই এবারই প্রথমবার এবং নতুন মুখ হিসেবে এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাঘা পৌর এলাকার ভোটার ৬৬ বছর বয়সের সেকেন্দার আলী বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশ কয়েকবার ভোট দিয়েছি। এবারের নির্বাচনে অনেক ‘অপরিচিত মুখ’ প্রার্থী হয়েছেন। দুই/এক জন ছাড়া সবাই নতুন মুখ। তারা এলাকায় তেমন কোন পরিচয় নেই।
জাতীয় পার্টির শামসুদ্দিন রিন্টু বলেন, এবারই আমার প্রথম নির্বাচন। দলীয় হিসেবে যথেষ্ঠ পরিচিতি ও গ্রহণ যোগ্যাতা রয়েছে। আচরণবিধি মেনে কাজ করছি। প্রতীক বরাদ্দ পেলে পুরোদমে মাঠে নামব। নেতাকর্মীরা ওয়ার্ড ভিত্তিক কাজ করছেন।