চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :\
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবুল হোসেন বাবু নামে এক বিএনপি কর্মীকে অপহরণ করে ক্রসফায়ারে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. শহিদুল হক ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজির আহমেদসহ ২৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গ্রহণ করেছে আদালত। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গোমস্তাপুর আমলী আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব এই নির্দেশনা দেন।
মামলার বাদি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের নিহত বিএনপি কর্মী আবুল হোসেন বাবুর স্ত্রী মোসা. জুলেখা বেগম এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই মার্ডারকে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, আটকের পরদিন যখন আমার স্বামীর মরদেহ গোমস্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গ্রহণ করি তখন তার বুকে ৪টি গুলির দাগ দেখতে পায়।
এ বিষয়ে বাদিপক্ষের আইনজীবী নূরুল ইসলাম সেন্টু জানান, এ ঘটনায় চলতি মাসের ১২ তারিখ বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করেন আবুল হোসেনের স্ত্রী জুলেখা বেগম। ওইদিনই শুনানী শেষে আদালত আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন। এতে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আগামী ৮ নভেম্বর শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে পিবিআইকে।
প্রসঙ্গত: বিএনপির কর্মী হওয়ার কারনে ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে রহনপুর বাসস্ট্যান্ড মোড়ে প্রকাশ্যে বাস থেকে নামিয়ে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার শিবরামপুর বাঙ্গাবাড়ি এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন বাবুকে জোড় করে তুলে নিয়ে যায় র্যাব সদস্যরা। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গুলিবিদ্ধ মরদেহ ফেরত দেয়া হয় পরিবারের নিকট। আবুল হোসেনকে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। মামলায় শহিদুল হক ও বেনজির আহমেদ ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের সাবেক উপ-পরিদর্শক মোজাম্মেল হক (৫০), গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের শিবরামপুরের সেরাফত আলী খানের ছেলে মুনিরুল ইসলাম টুলু (৫০) ও একই এলাকার ইদ্রিশ আলীর ছেলে মো. মোরসালিন (৩৪) সহ অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।