চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু লাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবুকে লাঞ্ছিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মোখলেসুর রহমানের সর্মথকরা।বৃহস্পতিবার(১১ নভেম্বর)যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে তাকে লাঞ্ছিত করেন মোখলেসুর রহমানের সর্মথকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক র‌্যালি হয়। র‌্যালি শেষে আব্দুল মান্নান সেন্টু মার্কেটের সামনে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য দিচ্ছিলেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবু। বাবু তার বক্তব্যদানকালে মোখলেসুর রহমান তার মাউথ পিস কেড়ে নিয়ে তাকে হেনস্থা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। উপস্থিত নেতা-কর্মীদের হস্তক্ষেপে সভার সভাপতি তার বক্তব্য শেষ করেন এবং কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ করেন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবু জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করে আলোচনা শুরু হয়। নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শেষে তিনি সভাপতির বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, “মাননীয় নেত্রী, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা উম্মুক্ত করে দেন। না হলে যে হারে ত্যাগী নেতারা বহিস্কার হচ্ছে, তাতে করে যেন আওয়ামীলীগ ভারতের কংগ্রেসের মত হয়ে না যায়। দলকে সংগঠিত করতে এবং ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা মুক্ত বা উন্মুক্ত করা হোক।”

বাবু জানান, তার এ বক্তব্যের পর পরই মোখলেসুর তার মাউথ পিস কেড়ে নেন এবং তাকে হেনস্থা করেন।

বাবু আরও জানান, এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, জেলা মহিলালীগের সভাপতি সাকিনা খাতুন পারুল ও সাধারণ সম্পাদক হালিমা খাতুন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ রোকন উজজামানসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা- কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে লাঞ্ছিতের বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মোখলেসুর রহমান বলেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবুকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং দলীয় প্রতিক নৌকা বিরোধী কথা বলায় আমি তার বক্তব্য বন্ধ করতে বলেছি এবং তার এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।

জেএ/এফ