চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বজনদের নামে অর্ধশতাধিক কার্ড

 নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ:  চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪ নং সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান তাঁর অর্ধশতাধিক স্বজনের মধ্যে এসব কার্ড বিতরণ করেছেন।
এছাড়া টাকার বিনিময়ে ভিজিডি, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতার কার্ড বিতরণের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি তালিকায় দেখা গেছে, চেয়ারম্যানের স্বজন ও পরিচিতরা ছাড়াও তালিকায় বেশ কয়েকজন মৃত ব্যক্তির নাম আছে। ১০ থেকে ১২ ব্যক্তির নাম রয়েছে তালিকায়, যাঁরা এ বিষয়ে জানেন না।
ইউপির একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭ সালে করা তালিকায়ও এসব অভিযোগ ছিল। চলতি বছরের তালিকায় তা সংশোধন করা হয়নি। ছাবানিয়া গ্রামের এনামুল হক (৬৫) অভিযোগ করেন, গত রমজান মাসে তাঁর নামে বয়স্ক ভাতার ১২ হাজার টাকা তোলা হয়।
তিনি শুধু ব্যাংকে গিয়ে টিপসই দিয়েছেন।টাকা তোলেন চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারি মাইনুল ইসলাম।ওই দিন একইভাবে প্রায় ৩০ জনের বয়স্ক
ভাতার টাকা তোলা হয় প্রায় আনুমানিক ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
পরে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডেকে ৫ হাজার করে টাকা কেটে রেখে প্রত্যেককে ৭ হাজার করে টাকা দেয়া হয়।নতুন কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ওই ৫ হাজার টাকা কেটে রাখা হয়। ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের মতামতের কোনো তোয়াক্কা করেন না।
সূত্র জানায়, চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারি মাইনুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫ টি কার্ড।ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দেখিয়ে এসব কার্ড করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে মাইনুল ইসলাম বলেন, আত্মীয়স্বজনের নামে কার্ড থাকতেই পারে।
তাঁরা কার্ড পাওয়ার যোগ্য বলেই পেয়েছেন।
একই পরিবারের একাধিক কার্ডধারী থাকার বিষয়ে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ভুলবশত এরকম হয়ে থাকতে পারে যেটা আমি জানিনা।সদর উপজেলার ইউএনও নাজমুল ইসলাম সরকার বলেন, কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির কথা শুনেছি। শিগগিরই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে।
স/আ.মি