চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ.লীগের সভাপতি নৌকা প্রতীকে পেলেন ২৭৮ ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। বুধবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মাত্র ৬টিতে জয়ী হয়েছেন নৌকা সমর্থিত প্রার্থী। আর বাকি আট ইউনিয়নে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন উপজেলার ১৪ নম্বর নারায়ণপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি ওই ইউনিয়নের নয়টি কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন মাত্র ২৭৮টি। নৌকা প্রতীক নিয়ে জামানত হারানো শহিদুল ইসলাম ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত বেসরকারি ফলে দেখা যায়, এই নয় কেন্দ্রের দুটিতে তিনি পেয়েছেন ১৪ ভোট করে। ১৭ পেয়েছেন একটি কেন্দ্রে, একটি কেন্দ্রে পেয়েছেন ২১ ভোট, ২৯ ভোট পেয়েছেন একটি কেন্দ্রে, একটিতে ৩৭ ভোট পেয়েছেন, একটিতে ৪৪, একটিতে ৪৮ আর একটি কেন্দ্রে পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৫৪ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নাজির হোসেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৪৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

অপর বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহা. আলমগীর কবির মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৩১ ভোট। এখানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. আজিম উদ্দীন ১৫৪৩ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থীর সর্বনিম্ন ভোট পাওয়া নিয়ে উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনাও।

নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কৌশিক আহমেদ বলেন- যোগ্য প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়নি। যোগ্য ও জনপ্রিয় ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে বিশেষ কিছু নেতার পছন্দের ব্যক্তিদের নৌকা দেয়া হয়েছিল। সে কারণে তৃণমূল ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। যোগ্য ব্যক্তিরা বাণিজ্যের কারনেই বঞ্চিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে আওয়ামীলীগ এত উন্নয়ন করার পরও নৌকা প্রতীকে মাত্র ২৭৮ ভোট। এটা চরম লজ্জার। পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী আমার পক্ষে প্রচার- প্রচারণায় অংশ নেননি। এমনকি মুক্তিযোদ্ধারাও নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে ভোট করেছেন।

অন্য ইউনিয়নে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা নৌকার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেও আমার ইউনিয়নে কেউ আসেননি। আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তারপরও স্থানীয় নেতারা আমার বিপক্ষে কাজ করেছেন এজন্যই আমার ভোট এত কম।
স/আর