চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেধাবী ২০ শিক্ষার্থী হলেন ৩৮তম বিসিএস’র ক্যাডার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ :

৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রেকর্ড সংখ্যা ২০জন মেধাবী শিক্ষার্থী বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সাময়িকভাবে সুপারিশ করেছেন। এর সংখ্যা বাড়তে পারে। এবার মোট আবেদনকারী ছিলো, ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৬ জন। প্রিলিমিনারি টেস্ট ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর ৯ হাজার ৮৬২ জনকে মৌখিক পরীক্ষায় আহ্বান করা হয়। গত বছর ২৯ জুলাই থেকে চলতি বছর ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় ৯ হাজার ১৯৩ প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৮ হাজার ৩৭৭ জন প্রার্থী কৃতকার্য হন।

এই ৮ হাজার ৩৭৭ জন প্রার্থীর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ২ হাজার ২০৪ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সাময়িকভাবে সুপারিশ করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ২০ মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে সদর উপজেলার ৬ জন, শিবগঞ্জ উপজেলার ৮ জন, গোমস্তাপুর উপজেলার ৩ জন, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলা থেকে ১জন করে রয়েছেন। বাকিদের ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

২০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন ৪ জন, শিক্ষা ক্যাডারে ৫ জন, মৎস্য ক্যাডারে ২ জন, রেলওয়ে ক্যাডারে ২ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১ জন, অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ক্যাডারে ১ জন, স্বাস্থ্য ক্যাডারে ১ জন, কৃষি ক্যাডারে ১ জন, প্রাণিসম্পদ ক্যাডারে ২ জন, আইসিটি ক্যাডারে ১ জন।

সুপারিশকৃতরা হচ্ছে, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শিবগঞ্জ উপজেলার জাহিদ হাসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড ম্যাথের শিক্ষার্থী গোমস্তাপুর উপজেলার মাহফুজা আকতার, রংপুর মেডিকেল কলেজের মেডিকেল বিভাগের শিক্ষার্থী শিবগঞ্জ উপজেলার ডা. মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সদর উপজেলার দেলোয়ার হোসাইন, রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শিবগঞ্জ উপজেলার সুব্রত দাস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী শিবগঞ্জ উপজেলার মো. রবিউল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপলাইড ফিজিক্স ও ইই বিভাগের শিক্ষার্থী নাচোল উপজেলার মো. আব্দুল হালিম রাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভোলাহাট উপজেলার মো. সাদরুজ্জামান ও আমির আল মাহফুজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী গোমস্তাপুর উপজেলার তামান্না তাবাসসুম উর্মি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সদর উপজেলার মো. খাদেমুল ইসলাম জীবন ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শিবগঞ্জ উপজেলার মো. সাদ্দাম হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শিবগঞ্জ উপজেলার মোসা. আরফিন নাহার ও রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সদর উপজেলার গোলাম মোরশেদ মানিক।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী শিবগঞ্জ উপজেলার মো. জাহাঙ্গীর আলম বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ওয়াটার রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী সদর উপজেলার মো. আরিফ হোসেন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সিভিল ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সদর উপজেলার এস এম ফুয়াদ ও একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একই বিভাগের শিক্ষার্থী গোমস্তাপুর উপজেলার মো. রহিম।

শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোমেনুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরেনারি ও এনিমেল বিভাগের শিক্ষার্থী সদর উপজেলার মো. ফারুক মিয়া এবং রুয়েটের ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাদিম শাহ সুপারিশ পেয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিক্ষার্থীদের মান দিনদিন বাড়ছে তা বোঝা যায় ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারের পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক উত্তীর্ণর জন্য।

স/আর