বৃহস্পতিবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে সংসদীয় কমিটির ছয় সুপারিশ

Paris
সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬ ৬:২৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দেশের সর্ববৃহৎ সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে বন্দরের উন্নয়নে মাস্টার প্লান প্রণয়নসহ ছয় দফা সুপারিশ করা হয়েছে।

 

কমিটি সূত্র জানায়, কমিটির বৈঠকে আলোচনাকালে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা বিবেচনা করে বন্দরের উন্নয়নে নতুন মাস্টার প্লান প্রস্তুতের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের অকশন কন্টেইনার অবিলম্বে সরানোসহ বন্দরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী, এমনকি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রীকে পরামর্শ দেওয়া হয়। আর বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমে আন্তমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

 

কমিটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখতে বন্দরের ন্যায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কার্যক্রম সপ্তাহের সাত দিনই ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সুপারিশ করা হয়। আর বন্দরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সরকারের বিধি-বিধান অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের তাগিদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের রেগুলেশন সংশোধন প্রস্তাবের কপি সংসদীয় কমিটি গঠিত ১ নম্বর সাব কমিটির কাছে পাঠানোর জন্য বলা হয়।

 

কমিটি বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, সম্প্রতি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটি সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চট্ট্রগ্রাম বন্দরের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন কমিটির সদস্য এম আব্দুল লতিফ। জবাবে কমিটি সদস্য ও নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য উত্থাপিত সমস্যাগুলো নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করতে হবে। আর বন্দর সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হলে যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে হবে।

 

এর আগে সভাপতিরে প্রশ্নের জবাবে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল অভিযোগ করেন, বন্দরের কার্যক্রম সপ্তাহের সাত দিন খোলা থাকে। কিন্তু কাস্টম হাউসের কার্যক্রম শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকে। ফলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এ কারণে বন্দরে কন্টেইনার জট সৃষ্টি হয়। এরপর নৌ-পরিবহনসচিব অশোক মাধব রায় তার বক্তৃতায় বন্দরে জাহাজ ও কন্টেইনার জটের কথা উল্লেখ করেন। আর এ জট এড়াতে সপ্তাহের সাত দিন কাস্টম হাউস খোলা রাখার প্রস্তাব করেন কমিটির সভাপতি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্যগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দরের গতিশীলতা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।”

সূত্র:কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়