সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
এক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুণ্ডা, গদাধরডাঙ্গী, কেশবনগর, দরানীপাড়া, মল্লিকপুরসহ প্রায় দশটি গ্রাম। এর মধ্যে বাখুণ্ডার জোবাইদা করিম জুট মিলের ভবন ভেঙে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক। অন্যত্র নিহত হয়েছেন আরও দু’জন।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। এ সময় দেশের অন্যতম বৃহৎ জোবাইদা করিম জুটমিল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ে প্রায় ৫/৬ হাজার বর্গফুট টিনের সেড জুটমিলের মধ্যে ভেঙে পড়ে।
এ সময় এ শিফটে কর্মরত ৪ শতাধিক শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়েন। তাদের মধ্যে হযরত আলী (৫৫) ও মালতী (৩৫) নামের দুইজন ও এক শিশু নিহত হয়েছে বলে মিলটি থেকে জীবনে বেঁচে ফেরা জয় সরদার ও আল আমিনসহ কয়েকজন শ্রমিক নিশ্চিত করেছেন।
মিলটির জেনারেল ম্যানেজার মতিউর রহমান বলেন, মাত্র এক মিনিটের মধ্যে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যাচ্ছে না।
এছাড়া কেশবনগর এলাকায় বীরেন বিশ্বাস (৩৫) নামের এক ব্যক্তি গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা যান। মানিকগঞ্জ থেকে শ্রমিকের কাজে আসা আবুল হোসেন (৪০) নামের অন্য এক নিহত হন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দড়ানিপাড়া গ্রামে। ওই এলাকার বারেক দড়ানির বাড়িতে মজুরের কাজ করতে গিয়ে তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেন ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের জোয়ারের মোড় এলাকায় শতাধিক গাছ ভেঙে রাস্তায় পড়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থান বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে রাস্তার দুই পাশে।
এসব এলাকায় শত শত বাড়ি-ঘর ভেঙে উপড়ে গেছে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসসহ সাধারণ মানুষ উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, করিম জুট মিলসহ বিভিন্ন এলাকায় আহত ৫০ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফরিদপুরের কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিমুদ্দিন বলেন, করিম জুটমিলের আহত শ্রমিকদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। কেশবনগর ও কৃষ্ণনগর এলাকায় আরো দুই দিনমজুরের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।
সূত্র: বাংলা নিউজ