সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
টানা শৈত্যপ্রবাহ আর ঘনকুয়াশার কারণে ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। নিয়মিত পরিচর্চার পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে সার ও সেচ ব্যবস্থাসহ পলিথিন দিয়ে ঢেকেও বীজতলা সতেজ করতে পারছেন না কৃষকরা। এতে বোরো আবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় তারা। কৃষি বিভাগের দায়সারা জবাব, আবহাওয়া ভালো হলেই স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে পৌষের শুরু থেকেই জেঁকে বসে শীত। সেই সঙ্গে ঘণকুয়াশায় ঢাকা পড়ে পথঘাট। যার প্রভাব পড়ে ফসলের ক্ষেতেও।
কৃষকরা জানান, শীত আর কুয়াশার কবলে পড়ে বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত পরিচর্চার পাশাপাশি বাড়তি খরচ করে সার ও সেচ ব্যবস্থাসহ পলিথিন দিয়ে ঢেকেও বীজতলা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা। হালচাষের পর জমি প্রস্তুত থাকলেও চারা বড় না হওয়ায় তা রোপন করা যাচ্ছেনা।
স্বাভাবিক সময়ে এক বিঘা জমিতে ধান আবাদ করতে কৃষকের খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। আর বীজতলা নষ্টের কারণে এবার খরচ গুণতে হচ্ছে ১৩ থেকে ১৬ হাজার টাকা। এতে লোকসানের দুচিন্তায় কৃষকেরা।
কৃষকরা বলেন, গড়ে খরচ পরে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। কুয়াশার কারণে আরো ৩ হাজার টাকার মত বেড়ে যাচ্ছে খরচ। এভাবে আমাদের লস হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তা মো. আফতাব হোসেনর দাবি, শীতের তীব্রতা থেকে বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় এবার ৬২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে ৩ হাজার ১শ ৭৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।