গ্রিসে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, ৪ শিশুর মৃত্যু

গ্রিসের এজিয়ান সাগরে চিওস দ্বীপের কাছে নৌকাডুবিতে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সাত নারী ও এক শিশুসহ ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। উদ্ধার ২২ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ, সাতজন নারী ও এক শিশু রয়েছে। নৌকায় কোনো বাংলাদেশি ছিলেন কি-না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ইনফো মাইগ্রেন্টস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) তুরস্ক উপকূলের কাছে চিওস দ্বীপের কাছেই নৌকাটি ডুবে যায়। অভিবাসীদের নৌকাডুবিতে চার শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তুরস্ককে দায়ী করেছে গ্রিস।

গ্রিসের অভিবাসনমন্ত্রী নোটিস মিতারাসি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু গ্রিক কোস্টগার্ডের সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিন থেকে ১৪ বছর বয়সী চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করে তাদের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সব ধরনের ব্যবস্থ নেওয়া হয়েছে।

jagonews24

তিনি আরও যোগ করেন, মূল উৎস থেকে অপরাধীচক্রের মাধ্যমে অভিবাসীদের শোষণরোধে তুর্কি কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সীমান্তে এ ধরনের পারাপার আর ঘটতে দেওয়া যাবে না। তিনি মানুষের জীবনকে হুমকিতে ফেলা অসাধু পাচারকারীদেরও নিন্দা করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধার অভিযানের সময় সমুদ্র বেশ রুক্ষ ছিল। এজিয়ান সাগরের এই এলাকায় ন্যাটোর একটি জাহাজ, দুটি হেলিকপ্টার ও আরও কয়েকটি নৌযানের সহায়তায় গ্রিক কোস্টগার্ড এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বক্তব্য অনুসারে, প্রতিবেশী তুরস্ক থেকে চলতি বছর আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ এজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়েছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। গত বছর এজিয়ান সাগরে নৌকাডুবিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে বা নিখোঁজ হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

সূত্রঃ যুগান্তর