‘গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে না পেরে হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছা করছে’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক

করোনাকালীন সময়ের শুরু থেকেই গ্যালারিশূন্য মাঠে ক্রিকেট খেলা চলছে। বিশেষ করে করোনার উচ্চসংক্রমণের দেশে গ্যালারি ভরা দর্শক ভাবাই যায় না।

এদিকে করোনার ভয়ে তটস্থ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে দর্শক তো দূরের কথা ক্রীড়াসাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানদেরই গ্যালারিতে টেকা দায়।

এমন পরিস্থিতে মাঠের দরজা বন্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাঁড়ভক্ত শোয়েবের জন্য। যিনি দেশের প্রতি ম্যাচে গ্যালারিতে বাঘের বেশে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

টাইগারদের খেলা উপভোগ ও সমর্থন করতে বিদেশের মাটিতেও পাড়ি জমান। আজ করোনার অযুহাতে তাকে খেলা দেখতে হচ্ছে টিভিসেটের সামনে বসে! না তবুও টাইগারদের সমর্থনে শোয়েব ছুটে গেছেন মিরপুর শেরেবাংলায়।

অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে মিরপুরের শেরেবাংলার গ্যালারিতে বসে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না তো কি হয়েছে, স্টেডিয়ামের পাশের একটা উঁচু বিল্ডিংয়ের ছাদে দাঁড়িয়েই নিজের দেশ ও দলকে সমর্থন জানালেন। সেই চেনা বাঘ সেজে হুংকারও দিলেন।

মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি এভাবেই উপভোগ করলেন শোয়েব।

যদিও এটাকে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো বলা যা।

যে কারণে হৃদয়ের গহীনে অতৃপ্ত আত্মার হাহাকার পুড়িয়ে মারছে তাকে। সাংবাদিকদের কাছে পেয়ে সেই কষ্ট উপচে পড়ল তার। চোখ ছলছল করে উঠল।

বললেন, ‘এমন দিন আসবে, ধারণাও করি নাই ভাই। ২০১০-১১ সালের দিকে প্রথম দাঁড়িয়েছিলাম মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গেটে গিয়ে। সেই দৃশ্যটা পরশু দিন পেয়ে গেলাম। সেদিন যে ফিরে পাবো, কল্পনা করতে পারি নাই। নিজের ঘর, নিজের সবকিছু, তাও ঢুকতে পারছি না, যেতে পারছি না গেটের ভেতরে। এর চেয়ে কষ্ট আর কী আছে। বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে না পেরে হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছা করছে।’

বিসিবির পক্ষ থেকে তাকে কাঁচে ঘেরা বক্সে বসে খেলা দেখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।

শোয়েব জানালেন, ‘ওখান থেকে কোনো সাউন্ড করা যাবে না। পতাকা উড়ানো যাবে না। আমার মন প্রাণ সবকিছু তো পতাকা। বাংলাদেশ যখন জিতবে, অস্ট্রেলিয়ার উইকেট যাবে। তখন আমি লাফ দেবো, চিৎকার করব, পতাকা উড়াব। তাছাড়া এই বাঘের কস্টিউম পরা যাবে না। যেতে হবে আর সবার মতো নরমাল ড্রেসে। তাই আর যাইনি। ওই ভিআইপি বক্স আমার জন্য নয়। আমি সেখানে দম আটকে মরে যাব। তাই এখান থেকেই খেলা দেখছি।’

সূত্র: যুগান্তর