সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজনের মৃত্যুর পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার মধ্যরাতে এই সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খালি করার আগে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শোকের মাস অগাস্ট উপলক্ষে ১ অগাস্টের প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায় বলে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানায়।
নিহত সাইফুল খালিদ মার্কেটিং বিভাগের সপ্তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দাউদকান্দি উপজেলার জয়নাল আবদিনের ছেলে তিনি।
সংঘর্ষে আহত হন আরও অন্তত ১১ জন। তাদের কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
রাতের ওই ঘটনার পর সকালে সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. আইনুল হক।
তিনি বলেন, “পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।”
গোলাগুলিতে সাইফুলের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সোমবার দুপুরের দিকে তিন সদস্যের এক কমিটি গঠনের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কোষাধ্যক্ষ কুণ্ড গোপী দাসকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির অন্য দুই সদস্যের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ছাড়াও ছাত্র-পরামর্শক আহসান উল্লাহ রয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আইনুল বলেন, কমিটিকে ‘অল্প’ সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সময় নির্দিষ্ট করা হয়নি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করার পর বেলা ১১টার মধ্য ছাত্রদের এবং বেলা ২টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীদের হল ছাড়া শুরুর আগেই পুলিশ তিনটি ছাত্র হলে তল্লাশি শুরু করে পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, বঙ্গবন্ধু হলের পানির ট্যাংকের ভেতর থেকে একটি পিস্তলসহ মোট ৪৫টি ধারালো অস্ত্র এবং ২০টি লোহার রড উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযানের সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে হল ছাড়তে দেওয়া হয়। কেউ পরিচয়পত্র দেখাতে না পারলে তাকে আটক করা হচ্ছিল।
এসময় ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল থেকে তিন বহিরাগতকে আটক করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য।
একই সময়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলেও পুলিশের অভিযান চলে। পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বিডি নিউজ