গোমস্তাপুরে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রতারণার শিকার এক গৃহবধু

গোমস্তাপুর প্রতিনিধি :

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক পল্লী চিকিৎসকের প্রতারণার শিকার এক গৃহবধু বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ব্ল্যাকমেইলিং করে শারিরিক সর্ম্পক স্থাপনের মাধ্যমে ও বিয়ের মিথ্যা আশ্বাসে প্রতারিত হয়ে অর্থ সম্পদসহ সর্বস্ব হারিয়েছেন ওই গৃহবধু।

সম্প্রতি এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাবর্তীপুর ইউনিয়নেমালপুর গ্রামে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোমস্তাপুর সার্কেলের কাছে করা ওই গৃহবধুর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একই ইউনিয়নের কাশরইল গ্রামের হুমায়ন রেজার ছেলে গ্রাম্য চিকিৎসক মিজানুর রহমান রাজু(৪০) ওই গৃহবধুর বাসায় চাকরীসূত্রে ঢাকায় অবস্থানরত স্বামীর অবর্তমানে চিকিৎসা করতে গিয়ে নেশা জাতীয় ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে তার সাথে শারিরিক সর্ম্পক স্থাপন করে এবং তার অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে তাকে ওই ভিডিও চিত্র তার স্বামী ও ইন্টারনেটে ছেড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তার সাথে শারিরিক সর্ম্পক অব্যহত রাখে ওই পল্লী চিকিৎসক। এর এক পর্যায়ে গৃহবধু তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তার কাছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও বাড়ির কিছু দামী আসবাদপত্র হাতিয়ে নেয়। স্বামী বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রথমে গোমস্তাপুর থানার তৎকালীর ওসি (তদন্ত) শামীম হোসেনের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারনে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধুর স্বামী। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারস্থ হন। কিন্তু অভিযুক্ত ওই পল্লী চিকিৎসক শুনানীর দিন তারিখে হাজির না হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতকে অবমামনা করেন। পরে ওই গৃহবধু গত ১৬ সেপ্টেম্বর গোমস্তাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমানের নিকট এ ঘটনার সু বিচার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক রাজুর সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযেগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ওই গৃহবধুর স্বামীর গ্রাম্য আদালতে অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আজিম আলী জানান, ওই গৃহবধুর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া অর্থ সম্পদ উদ্ধারের জন্য তার স্বামী গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থনা করলে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক রাজু গ্রাম আদালতে হাজির হননি। তাই বিচার কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে।

এদিকে গৃহবধুর অভিযোগ প্রসঙ্গে গোমস্তাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান জানান বিষয়টি আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রাথমিক তদন্তে ওই পল্লী চিকিৎসক এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/অ