গোমস্তাপুরে পল্লী চিকিৎসকের প্রতারণার শিকার গৃহবধুর আদালতে মামলা

গোমস্তাপুর প্রতিনিধি:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক পল্লী চিকিৎসকের প্রতারণার শিকার এক গৃহবধু আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গত ১৩ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ লিগ্যাল এইড অফিসের সহায়তায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাবর্তীপুর ইউনিয়নেমালপুর গ্রামের ওই গৃহবধুকে ব্ল্যাকমেইলিং করে শারিরিক সর্ম্পক স্থাপনের মাধ্যমে ও বিয়ের মিথ্যা আশ্বাসে প্রতারিত হয়ে অর্থ সম্পদসহ সর্বস্ব লুটে একই ইউনিয়নের কাশরইল গ্রামের হুমায়ন রেজার ছেলে গ্রাম্য চিকিৎসক মিজানুর রহমান রাজু(৪০)। ওই গৃহবধুর বাসায় চাকরীসূত্রে ঢাকায় অবস্থানরত স্বামীর অবর্তমানে চিকিৎসা করতে গিয়ে নেশা জাতীয় ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে তার সাথে শারিরিক সর্ম্পক স্থাপন করে এবং তার অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে তাকে ওই ভিডিও চিত্র তার স্বামী ও ইন্টারনেটে ছেড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তার সাথে শারিরিক সর্ম্পক অব্যহত রাখে ওই পল্লী চিকিৎসক। এর এক পর্যায়ে গৃহবধু তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তার কাছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও বাড়ির কিছু দামী আসবাদপত্র হাতিয়ে নেয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক রাজুর সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

স্বামী বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রথমে গোমস্তাপুর থানার তৎকালীর ওসি (তদন্ত) শামীম হোসেনের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারনে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধুর স্বামী। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারস্থ হন। কিন্তু অভিযুক্ত ওই পল্লী চিকিৎসক শুনানীর দিন তারিখে হাজির না হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতকে অবমামনা করে। পরে ওই গৃহবধু গত ১৬ সেপ্টেম্বর গোমস্তাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমানের নিকট এ ঘটনার সু-বিচার একটি লিখিত অভিযোগও করেন।

তার নিয়োগ করা আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু জানান, গত ১ অক্টোবর তাকে এই মামলা পরিচালনায় জন্য আইনজীবি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে বাদীনীকে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর মামলাটি আদালতে রুজ্জু করা হয়। যার নং- ৩৫০/২০২০, ধারা: ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) তৎসহ দঃ বিঃ আইনের ৪০৬/৪২০/৫০৬ (২)।

এদিকে মামলাটি গ্রহণের পর আদালত পিবিআইকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা পাবে বলেও তিনি জানান।